ঢাকা | অক্টোবর ৩, ২০২৪ - ৭:৫৭ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে জুমাতুল বিদায় বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ-মুক্তি কামনা

  • আপডেট: Friday, April 5, 2024 - 9:10 pm

স্টাফ রিপোর্টার: যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শুক্রবার রাজশাহীতে পবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত হয়েছে। জুমাতুল বিদা উপলক্ষে রাজশাহীর মসজিগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। অনেক এলাকায় মসজিদ ছাড়িয়ে খোলা সড়কে চৈত্রের এ তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জুমার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। নামাজ শেষ সব পাপ ও অকল্যাণ থেকে ইহকাল ও পরকালের জন্য মুক্তি কামনা করা হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, সমৃদ্ধ, কল্যাণ ও মুক্তি কামনা করা হয়।

পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা হিসেবে ধর্মীয় অনুভূতির মধ্যে দিয়ে প্রতি বছর পালন করেন মুসলিম জাতি। পবিত্র রমজান জুড়ে রোজা রাখা আর ইবাদত-বন্দেগির অংশ হিসেবে মহান আল্লাহর কাছে নাজাত প্রার্থনা করেন সবাই। সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গতকাল কাতারবদ্ধ হয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রমজানের শেষ জুমায় সামিল হন।

দুপুরে জুমার আজানের পর রাজশাহী কেন্দ্রীয় শাহ্ মখদুম (রহঃ) দরগা মসজিদ, সাহেব বাজার বড় মসজিদ ও হেতম খাঁ মসজিদসহ সব মসজিদে নামাজে আজ বাড়তি ভিড় লক্ষ্য করা যায়। জুমাতুল বিদাকে কেন্দ্র করে আজ নামাজ শুরুর আগেই সব মসজিদ মানুষের ঢল নামে। তাই মসজিদ ছাড়িয়ে সড়কেও বিস্তৃত হয় জুম্মার নামাজ।

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রচণ্ড রোদ-গরম উপেক্ষা করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় জুমার দুই রাকাআত ফরজ নামাজ আদায় করেন। এর আগে মসজিদের মিম্বার থেকে জুমাতুল বিদার খুতবায় উচ্চারিত হয় ‘আলবিদা, আল বিদা, ইয়া শাহর রামাদান। অর্থাৎ বিদায়, বিদায় হে মাহে রমজান। জুমার দুই রাকাত নামাজ শেষে রাজশাহীসহ গোটা দেশ ও জাতির সুখ, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি এবং কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। একই সঙ্গে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।

দোয়া করা হয় বছরের বাকি দিনগুলোতে যেন পাপ ও অকল্যাণ থেকে মুক্ত থাকা যায়। বিশেষ করে সব দুর্যোগ থেকে বাংলাদেশ ও গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে রক্ষার জন্য পরম করুণাময় আল্লাহপাকের কাছে সবাই দুচোখের পানি ছেড়ে দিয়ে নাজাত ও রহমত ভিক্ষা চান। নামাজ আদায়ের পর মহানগরীর গৌরহাঙ্গা, টিকাপাড়া, কাদিরগঞ্জ, হেতমখাঁসহ বিভিন্ন কবরস্থানে বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করতে সাধারণ মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানের শেষ জুমা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। একই সঙ্গে এ দিনকে আল কুদস দিবস হিসেবেও অভিহিত করা হয়। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, রমজান মাসের সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্ট দিবস হলো জুম্মাতুল বিদা (শেষ জুম্মা)। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার অথবা শেষ জুমাবারের দিন জুমাতুল বিদা হিসেবে মুসলিম বিশ্বে পরিচিত। এ মাসের শেষ জুমার দিন পালিত হয় আল কুদ্স দিবস। তাই মুসলিম উম্মাহর কাছে রমজানের এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।

সোনালী/জেআর