মান্দায় অবৈধ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ
মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: মান্দায় এমএসবি ব্রিকস নামের একটি ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ দিয়ে এবারও ইট পোড়ানোর কাজ করা হচ্ছে। ইটভাটার লাইসেন্স কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকলেও দেদারচ্ছে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো কাজ করছেন ভাটামালিক রকিবুল ইসলাম।
উপজেলা সদর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে এমএসবি ব্রিকস নামের ভাটাটির অবস্থান। ভাটাসংলগ্ন রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রতিদিন যাতায়াত করেন। কিন্তু তেমন নজরদারি চোখে পড়ে না। উপজেলা ইটভাটা মালিক প্রুপের নিষেধকেও তোয়াক্কা করছেন না ভাটামালিক রকিবুল ইসলাম।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাটাটিতে মাঝে মধ্যেই পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনকে আসা-যাওয়া করতে দেখা যায়। এরপরও কীভাবে ওই ভাটায় কাঠ পোড়ানো হয় এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাদের দাবি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অনুমোদনহীন ওই ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ দিয়ে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ।
এসব বিষয়ে জানতে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হয় পরিবেশ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক মলিন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোনে কোনো কথা হবে না। সামনা-সামনি আসেন, এরপর ভেবে দেখবো তথ্য দেয়া যাবে কি না। এই বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।’
এদিকে সোমবার বিজয়পুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এমএসবি নামের ওই ইটভাটায় দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। এর উত্তরপাশে স্তুপ করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির জ্বালানি কাঠ। ভাটার ওপরে গাছের গুড়ি দেখা যায়। পশ্চিম দিকে কিছু কয়লার মজুত চোখে পড়লেও তা ছিল অতি সামান্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, ভাটাটিতে মাঝে মধ্যেই অপরিচিত লোকজনকে যাতায়াত করতে দেখা যায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় আগন্তÍকরা ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন।
তারা আসেন ইটভাটা ঘুরে ঘুরে দেখেন, আবার চলেও যান। কিন্তু আজও বন্ধ হয়নি জ্বালানি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কাজ। এর ফলে অতিরিক্ত ধোঁয়ায় হুমকির মুখ পড়েছে এলাকার পরিবেশ। আশপাশের আমসহ বিভিন্ন ফলদ বাগানের উৎপাদনও কমে গেছে।
এ বিষয়ে ভাটামালিক রকিবুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইলফোন রিসিভ হয়নি। ইটভাটায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোনালী/জেআর