প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ, ধামাচাপার চেষ্টা স্থানীয় প্রভাবশালীদের
অনলাইন ডেস্ক: এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ঘটনার পর থেকে সন্দেহভাজন মো. মোহন (৫০) পালিয়ে আছে।
তার বাড়ি উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের রামকান্তপুরে। ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, মোহনের পক্ষে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
ভুক্তভোগী নারী এক সন্তানের জননী। তাঁর স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ১১ মার্চ ওই নারীর স্বামী বাড়ি ছিলেন না। সেদিন গভীর রাতে তাঁর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে মো. মোহন। পরদিন ভুক্তভোগী স্বামী ও প্রতিবেশীদের কাছে এর বর্ণনা দেন।
ওই নারীর স্বামী বলেন, ঘটনাটি জানার পর বিচারের জন্য সমাজের লোকজন তাঁকে নিয়ে জামুর্ত্তা ইউপির চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লার কাছে যান। তবে এখনও কোনো সালিশ হয়নি।
ভুক্তভোগীর ভাই বলেন, মোহনের স্বভাব-চরিত্র খুবই খারাপ। একই এলাকার এক মেয়েশিশুকেও ধর্ষণ করেছিল সে। পরে বিচার বসিয়ে লোকজন তাকে পিটুনি দেয়। কীভাবে সে একজন প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করে?
মোহনের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ হারুন বলেন, বুধবার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন এসে বিষয়টি শুনেছেন। তিনি দু-এক দিনের মধ্যে বসে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে ওই নারীর স্বজন ও এলাকাবাসীর ভাষ্য, মোহন পালিয়ে গেলেও স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তার পক্ষে কলকাঠি নাড়ছেন। তারা মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে সময় নষ্ট করছেন। এ কারণে মামলাও করতে যাচ্ছেন না স্বজনরা।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘ধর্ষণের বিষয়ে আমি সেভাবে কিছুই জানি না। লোকজন বলাবলি করেছে– এটুকুই জেনেছি।’ এমন ঘটনার বিচার করার ক্ষমতা তাঁর নেই বলেও মন্তব্য করেন।
এমন কোনো তথ্য জানা নেই সিংগাইর থানার ওসি জিয়ারুল ইসলামের। তিনি বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখছি। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোনালী/জেআর