ঢাকা | জুলাই ২৭, ২০২৪ - ৬:২৪ পূর্বাহ্ন

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ছেলেকে ভাগিয়ে দেওয়ায় তরুণীর আত্মহত্যা

  • আপডেট: Friday, March 29, 2024 - 9:58 pm

অনলাইন ডেস্ক: কয়েক দিন আগে প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হয় দুই পরিবারে। পরে বিয়ের আশ্বাস দেয় ছেলের পরিবার। কিন্তু কৌশলে ছেলেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানার পর ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন এক তরুণী।

ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার দক্ষিণপাড়া এলাকার সুসং আশ্রয়ণ প্রকল্পে। শুক্রবার দুপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪/৪ নম্বর ঘরে থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী সবুজা খাতুন (১৯) আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪/৩ নম্বর ঘরের বাসিন্দা মঞ্জু ইসলামের মেয়ে। বিয়ে না করে অন্যত্র চলে যাওয়া বাবু মিয়া একই আশ্রয়ণের ৪/২ নম্বর ঘরের বাসিন্দা আবদুল আলীর ছেলে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা জানান, নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সুসং আশ্রয়ণ প্রকল্পের সবুজা খাতুনের সঙ্গে বাবু মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ৩-৪ দিন আগে ছেলেমেয়েকে একত্রে পাওয়া যায়। এর পর তাদের প্রেমের ঘটনা জানাজানি হয় দুই পরিবারে। পরে মীমাংসার মাধ্যমে দু’জনের বিয়ের আশ্বাস দেয় ছেলের পরিবার।

কিন্তু কৌশলে ছেলেকে এলাকা থেকে দূরে কোথাও পাঠিয়ে দেয় তার পরিবারের লোকজন। এ খবর সবুজা জানতে পেরে ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গা-ঢাকা দিয়েছে ছেলের পরিবারের লোকজন।

তরুণীর মা বলেন, ‘ছেলের লগে আমার মেয়ের ফোনে কথা হইলে ছেলে কইছে আর দেহা হইত না। আজ (শুক্রবার) আবার কল দিলে ছেলের মোবাইল বন্ধ পায় আমার মেয়ে। এর পরই এ ঘটনা।’

মেয়ের বাবা মঞ্জু ইসলাম বলেন, ‘আমি অসুস্থ। তাই কাজ থেকে এসে ঘরে শুয়ে ছিলাম। মেয়ে এসে আমাকে দেখে যায়। কতক্ষণ পরে পাশের ঘরে ঢুকতে না পরে বাচ্চারা হইচই শুরু করে। তখন বউ আর আমি গিয়ে ডাকাডাকি করি; কিন্তু সাড়াশব্দ পাই না। তখন দরজা ধাক্কা দিলেও খোলে না। এক পর্যায়ে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখি মেয়ে আমার ঝুলে আছে।’

দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, নিহতের নিজ বসতঘরের পাশের একটি বসতঘরের ভেতরে বাঁশের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনালী/জেআর