ঢাকা | জুলাই ২৭, ২০২৪ - ৬:১২ পূর্বাহ্ন

দোকান তুলে দেয়ার হুমকির অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

  • আপডেট: Friday, March 15, 2024 - 8:19 pm

চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের জের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের জেরে দফায় দফায় হুমকির শিকার হচ্ছেন নাজমুল নামের ওই খাবারের দোকানি।

এমনকি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব নিজে গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছেন বলে অভিযোগও উঠেছে।

আগামী রোববারের মধ্যে দোকান তুলে দেবেন বলে গালিব আল্টিমেটাম দিয়ে গেছেন দোকানিকে। তবে এই নেতা দোকানে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও বাকি অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন।

আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকালে গালিব ওই দোকানীকে আগামী রবিবারের মধ্যে দোকান তুলে দেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এছাড়াও সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে একাধিক নেতা একাধিকবার গিয়ে তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ওই দোকানী।

এর আগে গত মঙ্গলবার ইফতারির পর নাজমুল নামের ওই দোকানির কাছে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন দুই ছাত্রলীগ নেতা। এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড রাবির ‘সোনালী সংবাদ’ প্রতিনিধির হাতে আসে। রেকর্ডটিতে ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে এক খাবারের দোকানির কাছে দশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করতে শোনা গেছে।

এ সময় তাদের বলতে শোনা যায়, ‘বিষয়টি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ‘কনসার্নে’ আছে।’ এমনকি তারা দোকানীকে উদ্দেশ্য করে বলেছে, ‘সাংবাদিক-মামবাদিকদের বললে সেটা ভুল সিদ্ধান্ত হবে। আর চাঁদাবাজির নিউজ-টিউজ হলো, আপনি দেখলেন। কি হইলো? আমারও কিছুই হবে না।’ এর ভিত্তিতেই একাধিক নিউজ হয় তাদের বিরুদ্ধে। এসব নিউজের জন্যই তাকে এখন হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

আজ বিকাল ৫টার দিকে দোকানির সাথে দেখা করতে গেলে দোকানি নাজমুল বলেন, ‘গালিব ভাই এসে বলে গেছে আগামী রবিবারের মধ্যে তারা আমার দোকান উঠিয়ে দেবে। গালিব ভাই বলেছে, ‘এই দুই দিনই তুই ব্যবসা করে নে, এরপর তোর মেয়াদ শেষ।’ আমি নাকি গালিবের রেকর্ড করে আপনাদের দিয়েছি। আমি বলেছি, ভাই দেখেন আমার ফোনে রেকোর্ডিং আছে নাকি। আমার ফোনে তো মেমোরি কার্ডই নাই। এরপর গালিব ভাই বলেছে, ‘সাংবাদিককে বলবি না কোন বালকে বলবি বলেক। কি করতে পারে দেখবো।’ এসব বলে জিয়া হলের দিকে চলে গেছে।’

দোকানির স্ত্রী বলেন, ভাই অল্প সাধে কি আমরা এখানে দোকান দিয়েছি। আমি বাড়ির মহিলা মানুষ আমি কেন এখানে দোকান দিয়ে খাবার বিক্রি করবো। কষ্ট হচ্ছে তাই এখানে ব্যবসা করতে হচ্ছে। না হলে আপনার ভাই খাবার বিক্রির জন্য কি আমাকে এখানে নিয়ে আসে?

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব সোনালী সংবাদকে বলেন, আমি গেছিলাম। সেখানে গিয়ে আমি বলেছি, তোমার ‘বৈধ’ ব্যবসা তুমি কেনো টাকা দিবে? এরপর থেকে কিছু হলে তুমি আমাকে জানাবা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের যেসব বৈধ দোকান আছে সেগুলো ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলবে। তবে ওই দোকানটি বৈধ কি না তা খোঁজ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, চাঁদা দাবি করা ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ এবং শহীদ হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ওই হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিনহাজ। এদের মধ্যে সোহাগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী এবং মিনহাজ ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।

সোনালী/জেআর