রাজশাহী ও পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জন নিহত

সোনালী ডেস্ক: সোমবার বাঘা ও পাবনার চাটমোহরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে।
বাঘা প্রতিনিধি জানান, ঈশ্বরদী মহাসড়কে সড়ক দৃর্ঘটনায় এ্যাপেক্য্র ফার্মার সেলস প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান মিস্টার (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯ টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার সাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মোস্তাফিজুর রহমান মিস্টার রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার বাঘা পৌর এলাকার বাজুবাঘা নতুন পাড়া গ্রামের তহিদুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। তিনি রাজশাহী থেকে সকালে মোটরসাইকেলে ওষুধ নিয়ে ইশ্বরদী যাওয়ার পথে বাঘা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের সাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সামনে সকাল ৯টার দিকে বালিভর্তি ট্রলির সাথে মুখামুখি ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোস্তাফিজুর রহমান মিষ্টার।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এব্যাপারে নিহত মামা মুনসাদ মাহমুদ ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা করেছেন। বালিভর্তি ট্রলিকে আটক করা হয়েছে। ট্রলি রেখে ডাইভার পালিয়ে যায়। বিকালে বাঘা শাহী মসজিদে যানাজা শেষে বাঘা কেন্দ্রীয় গোরস্থানে মোস্তাফিজুর রহমান মিস্টারের লাশ দাফন করা হয়।
পাবনা প্রতিনিধি জানান, পাবনার চাটমোহরে দুধের ক্যান বোঝাই করিমনের চাপায় এক স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে। নিহত রিমি খাতুন (১৪) উপজেলার অমৃতকৃন্ডা এলাকার জাইদুল ইসলামের মেয়ে ও উপজেলার সেন্ট রির্টাস স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
জানা গেছে, সোমবার বেলা ১২টার দিকে কোচিং শেষ করে এক সহপাঠীর সাথে বাড়ি ফিরছিল রিমি। পথিমথ্যে অমৃতকুন্ডা মাদ্রাসা এলাকায় পৌছালে উল্টোদিক থেকে আসা দুধের ক্যান বোঝাই একটি করিমন গাড়ির রিমি খাতুনকে চাপা দিয়ে উল্টে যায়। এতে রিমি গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিমি খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই করিমনের চালক পালিয়ে যায়।
এদিকে, দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রী নিহতের ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপুর ২টার দিকে সেন্ট রীটার্স হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলের সামনে সড়ক (পাবনা-চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) হাবিবুল ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
সোনালী/জেআর