মান্দায় পুকুরের মাটি পরিবহনে ট্রাক্টর, গ্রামীণ রাস্তায় দুর্ভোগ
মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় সদর ইউনিয়নে রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। খনন করা পুকুরের মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। মাটি পরিবহন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রাক্টর। এতে গ্রামীণ পাকা রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে পড়েছে।
এদিকে রোববার রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় ফেরিঘাট থেকে পীরপালি বাজারের একমাত্র পাকা রাস্তাটি কাদা-মাটিতে একাকার হয়ে গেছে। সোমবার এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ছোটখাটো দুর্ঘটনারও খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাটিবাহী ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে রাস্তার ধারসহ আশপাশের বাসিন্দারা রাতে ঘুমাতে পারেন না। লেখাপড়া করতে পারছে না এলাকার শিক্ষার্থীরা। চরম বেকাদায় পড়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মান্দা সদর ইউনিয়নের নলঘৈর গ্রামের আব্দুস সালামের একটি পুকুর খনন করে দেয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আব্দুল ওহাব হীরা নামের একব্যক্তি। একইভাবে চকমনসুব গ্রামের ছইম উদ্দিন শাহের পুকুরটি আল-আমিন ও মান্দা ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পাশে সাহাপুর এলাকার একটি পুকুর খননে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জামাল উদ্দিন।
চুক্তিবন্ধ এসব পুকুরে খননযন্ত্র দিয়ে প্রত্যেকদিন সন্ধ্যার পর থেকে সারারাত চলে মাটি কাটার মহোৎসব। মাটি পরিবহন কাজে সারারাত ধরে ট্রাক্টর চলাচল করে। ট্রাক্টরের বিকট শব্দে স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। ঠিকমত লেখাপড়া করতে পারে না শিক্ষার্থীরা।
নবগ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, রোববার রাতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি কাদা-মাটিতে একাকার হয়ে গেছে। এ অবস্থায় রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। অবাধে ট্রাক্টর চলাচলের কারণে একই সঙ্গে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ পাকা রাস্তাটি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির মুন্সী বলেন, বিষয়টি জেনেছি। দিনে কিংবা রাতে যখনই মাটি কাটা হোক না কেন খুব শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোনালী/জেআর