নিজের জন্য নয়, জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি: বাদশা
স্টাফ রিপোর্টার: নিজের জন্য নয়; বরং জনগণের কল্যাণের জন্যই রাজনীতি করেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
শুক্রবার বিকালে ওয়ার্কার্স পার্টির ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাকর্মিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। নগরীর কোর্ট স্টেশন এলাকায় শহিদ জামিল স্মৃতি সংসদে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমি জনগণের জন্য রাজনীতি করি, নিজের জন্য নয়। আমার রাজনীতি জনগণের স্বার্থ রক্ষা ও মূল্যায়নের জন্য। এই আসনে টানা তিনবার জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছি। কাজ করতে গিয়ে কখনো কোন মানুষকে তার নায্যতা থেকে বঞ্চিত করিনি। সাধারণ মানুষের জন্য সবসময় আমার দরজা উন্মুক্ত রেখেছি। আমার ব্যক্তিগত অফিসে গণমানুষের অবাধ বিচরণ তার জলজ্যান্ত উদাহরণ।
দেশের বর্ষিয়ান এই রাজনীতিক আরও বলেন, আমার রাজনীতির বয়স পঞ্চাশ বছর। রাজনীতিতে দীর্ঘ এই পথচলায় আমি একই ধারায় রাজনীতি করেছি। সেই ধারা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের ধারা। পঞ্চাশ বছরে এই ধারার সঙ্গে কখনও আপোষ করিনি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবসময় অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লড়াইয়ে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। এতে জনগণের যে ভালোবাসা ও সমর্থন আমি পেয়েছি; তা আমার দীর্ঘ রাজনীতির বিশাল পাওয়া। রাজশাহীবাসীর উদ্দেশে বলতে চাই, আমি ছাত্রজীবন থেকে আপনাদের পাশে ছিলাম, এখনও আছি এবং আগামীতেও থাকবো।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজপাড়া থানা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আব্দুল মতিন। বক্তব্য রাখেন, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য নাজমুল করিম অপু, মহানগর সদস্য ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, মাসৃুম আক্তার অনিক, আব্দুল খালেক বকুল, শামীম ইমতিয়াজ, সাহারুল ইসলাম টিয়, তৌহিদ উদ্দীন বিদ্যুৎ, মাসুম রেজা বিদ্যুৎ, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আদিলুজ্জামান আদিল, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী লালু, ১ নম্বর ওয়ার্ডের জাবেদ আলী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ফিরোজ আলী, সাধারণ সম্পাদক সামন্ত ঘোষ মাসেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম রসুল বাবলু, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রিপন শেখ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আলী হাসান মামুন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক মনির উদ্দীন পান্না।
সোনালী/জগদীশ রবিদাস