ঢাকা | জুলাই ২৭, ২০২৪ - ৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিলেন সেই মামুন

  • আপডেট: Saturday, February 10, 2024 - 8:45 pm

অনলাইন ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ঘটনার মূলহোতা মো. মামুনুর রশিদ ওরফে মামুনসহ দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দিতে নিজের কৃতকর্মের জন্য মামুন অনুতপ্ত হন এবং নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চান। গতকাল ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আদালতে মামুন তার জবানবন্দিতে জানান, তিনি ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামীকে মীর মোশাররফ হলের ৩১৭ নং রুমে মুরাদের কাছে রেখে আসেন। পরে ওই নারীকে ক্যাম্পাসের বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে মামুন এবং পরে মোস্তাফিজ গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।

এদিন আসামি মামুন ও মুরাদকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তারা ধর্ষণের ঘটনায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জাবিতে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনের দোষ ‘স্বীকার’: গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে হলের পাশে জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার পর ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৪ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালত গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- সাব্বির হাসান, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামান।

সোনালী/জেআর