ধসে পড়ল রাবির হল ভবনের একাংশ, হাসপাতালে তিনজন
অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নির্মাণাধীন ১০ তলাবিশিষ্ট শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হলের একাংশ ধসে পড়েছে। এ সময় তিন নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারা তিনজনই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নির্মাণাধীন ওই হলের একাংশ ধসে পড়ে।
আহত তিন নির্মাণ শ্রমিক হলেন, গাইবান্ধার আজাদুল ইসলাম (৩৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সিফাত হোসেন (২২) ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মো. সিহাব (২৫)। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে নির্মাণাধীন হলের উত্তর-পূর্ব কোণের বিমগুলো হঠাৎ বিকট শব্দে ধসে পড়ে। আজ সকালেই ঢালাই করা ছাদও ধসে পড়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
রাবির প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জানান, ছেলেদের আবাসিক হলের ছাদের জন্য বিমগুলোর ঢালাই কাজ চলছিল।
এ সময় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিমগুলো ধসে পড়ে। আহত তিন শ্রমিককে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। কেন এমন ঘটনা ঘটলো তারা সেটি তদন্ত করে দেখবেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর রাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এমন ঘটনা ভীষণভাবে অপ্রত্যাশিত। যারা আহত হয়েছেন, তাদের এরই মধ্যে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের চিকিৎসার সব ধরনের সহযোগিতা করছে। তারা হাসপাতালে আহতদের শারীরিক অবস্থাও মনিটরিং করছেন।
এখন পর্যন্ত কারও নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া যায়নি। তবে এখনো উদ্ধার কাজ শেষ হয়নি। তাই পুরোপুরি কাজ শেষ হলে বিস্তারিত জেনে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উদ্ধার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) ওহিদুল ইসলাম জানান, কেউ চাপা পড়েছে কি না তা এখনো কেউ নিশ্চিত নন। উদ্ধার কাজ পুরোপুরি শেষ হলে তা বোঝা যাবে।
ডিডি ওহিদুল ইসলাম আরও জানান, প্রথমে চারটি ইউনিট এবং পরে আরেকটি ইউনিট মিলে বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট কাজ করছে। শুরুতেই ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় অন্য আহত কাউকে আর পাওয়া যায়নি।
সোনালী/জেআর