নওগাঁয় দড়ি দিয়ে হাত-পা বাঁধা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক: নওগাঁর মহাদেবপুরে দড়ি দিয়ে হাত-পা বাঁধা রীনা বেগম (৪৩) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন মাস্টারপাড়া থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত রীনা উপজেলা সদরের দশকলোনীপাড়ার বাসিন্দা ফেরদৌস আলমের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ২৫ বছর আগে ফেরদৌস ও রীনার বিয়ে হয়। এই দম্পতির কোনো সন্তান নেই। সন্তান না হওয়ায় ফেরদৌস দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
রীনা সম্প্রতি কুঞ্জবন মাস্টারপাড়ায় বাড়ি নির্মাণ করে ভাই-ভাবীকে নিয়ে ওই বাসায় বসবাস শুরু করেন। এরই মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রী ছেড়ে গেলে ফেরদৌস আবারও রীনাকে বিয়ে করেন।
নিহত রীনার ছোট ভাই একরামুল ইসলাম জানান, তিনি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন ও তার স্ত্রী একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করেন। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে তারা বাড়ি থেকে বের হন।
অন্যদিন তাদের মেয়ে রীনার কাছে থাকলেও সেদিন তাদের সঙ্গে যায়।
রাত ৮টায় বাড়ি এসে রীনার ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। পরে দরজা খুলে ঘরের মেঝেতে হাত-পা বাঁধা রীনার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেতেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সোনালী/জেআর