ঢাকা | নভেম্বর ২৬, ২০২৪ - ২:৩২ অপরাহ্ন

এমপি হতে দৌড়ঝাঁপ রাজশাহীর ২০ নেত্রীর

  • আপডেট: Friday, January 26, 2024 - 5:00 pm

অনলাইন ডেস্ক: এবার জাতীয় সংসদে যেতে চান রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তত ২০ নারী নেতা। এর আগে ২০১৮ সালে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন ১৯ জন। সে সময় অনেক সিনিয়র নেত্রীকে পেছনে ফেলে যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আদিবা আনজুম মিতা পেয়েছিলেন দলীয় মনোনয়ন।

এবারের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন– সংরক্ষিত মহিলা আসনের বর্তমান এমপি যুব মহিলা লীগের নেত্রী আদিবা আনজুম মিতা, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনপত্নী শাহীন আক্তার রেনী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার মিতা, জেলা মহিলা লীগের সহসভাপতি রোকসানা মেহবুবা চপলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নিঘাত পারভীন।

তপশিল ঘোষণার আগেই সম্ভাব্য নারী নেতারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। নিজেদের সাধ্যমতো তদবির ও লবিং করছেন। সংরক্ষিত মহিলা এমপি হতে হলে সাধারণত স্থানীয় এমপি এবং আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। সে বিষয়গুলো মাথায় রেখেই তারা চেষ্টা করছেন।

নেতাকর্মী অভিযোগ করে বলছেন, গতবার আদিবা আনজুম মিতা এমপি হয়ে চমক দেখালেও এলাকার কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে চমক দেখাতে পারেননি। তিনি রাজশাহী জেলার এমপি হলেও শুধু গোদাগাড়ী-তানোর উপজেলা নিয়েই ব্যস্ত থেকেছেন। সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে চেয়েছিলেন সেখানকার মনোনয়ন। না পেয়ে এবার আবারও মহিলা এমপি হতে লবিং শুরু করেছেন। তবে ২০০৮ সালের পর থেকে দুই মেয়াদে সংরক্ষিত মহিলা এমপি দেওয়ার নজির এ অঞ্চলে নেই।

আদিবা আনজুম মিতা বলেন, আমি নৌকার কর্মী। রাজশাহী-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছি, না পেয়েও নৌকার বাইরে যাইনি। এবারও সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন চাইব। নেত্রী যদি মনে করেন, আমার কাজ যদি পছন্দ করেন, তাহলে মনোনয়ন দেবেন। নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শাহীন আক্তার রেনী এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের মনোনয়নপত্র তুলবেন। রেনী বলেন, সংগঠন এবং দলীয় সভাপতি যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন, তবে আমি মনোনয়নপত্র তুলব। যে কোনো দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত আছি।

রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভীন বলেন, আমি দু’বারের সভাপতি। আমার সদস্যরাও মনোনয়নপত্র তুলছেন। এর আগে সাতবার মনোনয়নপত্র তুলেছি। আমি ছাত্র রাজনীতি করেছি। ১৯৯৫ সাল থেকে মহিলা লীগের রাজনীতি করছি। নারীদের নিয়ে কাজ করছি।

জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার মিতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় আছি। দুই কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। নারীদের সংগঠনে এনে মহিলা লীগকে শক্তিশালী করেছি। সংগঠনের পেছনে অনেক শ্রম দিয়েছি। নেত্রী যদি আমাকে যোগ্য ও দরকার মনে করেন, তাহলে সুযোগটা গ্রহণ করতে চাই।

মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইফফাত আরা কামাল। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের স্ত্রী। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজশাহী মহানগরীতে নারীদের সংগঠিত করার জন্য কাজ করেছি। নেত্রী আমাকে সুযোগ দিলে এমপি হতে চাই।

সংরক্ষিত আসনের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা মহিলা লীগের সহসভাপতি রোকসানা মেহবুবা চপলা বলেন, ছাত্রলীগ থেকে রাজনীতি শুরু করেছি। আশা করছি, দল আমাকে নিরাশ করবে না।

সোনালী/জেআর