এমপি বাদশার উন্নয়নকে আড়াল করে মিথ্যাচার করা হচ্ছে: ডাবলু
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেছেন, রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ‘রাজশাহীর জন্য কিছুই করেননি’; এমনটি বলে যারা প্রচার করছি- তারা সত্যকে আড়াল করে মিথ্যাচার করছি। রাজশাহীর মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে এমন ডাহা মিথ্যাচার আমরা সমর্থন করিনা।
রোববার বিকেলে নগরীর কোর্ট এলাকার দিগন্ত প্রসারী ক্লাবের সামনে আয়োজিত পথসভায় দেয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর আ’লীগের দুই বারের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে যেভাবে পুরো বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন, ঠিক সেভাবে তার আন্তরিক সহযোগিতায় জননেতা ফজলে হোসেন বাদশাও এখানে নির্বাচিত হয়ে পিছিয়ে পড়া রাজশাহীকে অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়েছেন। তার জলজ্যান্ত প্রমাণ আমি দিতে পারি।
ডাবলু বলেন, আমরা একটু আগে যে লিলি হলের মোড় থেকে কোর্ট স্টেশন পর্যন্ত মিছিল করলাম, সেই রাস্তাসহ অলিগলির বিভিন্ন রাস্তা প্রশস্তকরণ জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা করেছেন। শহরে এমন কোন স্কুল-কলেজ নেই যেখানে ফজলে হোসেন বাদশার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু যখন একাধারে এমপি-মেয়র ছিলেন তখন জিরোপয়েন্ট থেকে শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর পর্যন্ত চারলেনের যে রাস্তাটা হওয়ার কথা ছিল; সেটি তিনি করতে পারেননি। সেই রাস্তাটি ফজলে হোসেন বাদশা এমপি হওয়ার পর তার হাত ধরেই আরডিএ’র মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছিল।
শহিদ কামারুজ্জামান চত্বর থেকে নওহাটা পর্যন্ত যে চারলেনের রাস্তাটি দেখছেন; সেই প্রকল্প যখন অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল; তখন এমপি ফজলে হোসেন বাদশার তদবিরের কারণেই আজকে রাস্তার কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমাদের রাজশাহী বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দিয়েছিল। জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা এমপি হওয়ার পর সেই বিমানবন্দর চালু করেছেন। ফজলে হোসেন বাদশার অবদানের জন্যই আজকে রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত চারটি বিমান যাওয়া আসা করছে।
তিনি বলেন, আগে ঢাকা থেকে রাজশাহী মাত্র একটি ট্রেন চলাচল করতো। এখন পাঁচটি ট্রেন চলাচল করছে। এটিও জননেতা ফজলে হোসেন বাদশার তদবিরের কারণে সম্ভব হয়েছে। আমাদের প্রাণের দাবি ছিল, রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা। নেত্রী আমাদের সেটি উপহার দিয়েছেন। জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সেই কাজটিতেও এমপি ফজলে হোসেন বাদশার প্রত্যক্ষ অবদান আছে। আমরা দাবি করেছিলাম, রাজশাহীতে বিকেএসপির শাখা চাই। জননেতা ফজলে হোসেন বাদশার কারণে সেটিও হয়েছে। আমি নিজে স্বাক্ষী, সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা যখন আটকে ছিল; তখন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বসে জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা তার নিজের প্রকল্পের টাকা সিটি করপোরেশনে দিয়ে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছিলেন। শুধু তাই নয়; ২০১৮ সালে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উন্নয়নের জন্য প্রতিটি কাউন্সিলরদের তিনি এক কোটি টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছিলেন। তার সেই বরাদ্দের কারণেই তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন হয়েছে।
ডাবলু সরকার আরও বলেন, আমরা যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যারা অবিচল, যারা ১৯৭১ সালের ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের প্রতি বিশ্বাস করি, তারাই আমরা প্রকৃত আওয়ামী লীগার। আর যারা নৌকার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তারা বঙ্গবন্ধুর লোক না, তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার লোক না, তারা কখনোই মহান মুক্তিযুদ্ধের বিশ্বাস করে না। আপনারা যারা নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বলতে চাই; আপনাদের পোস্টারের মাথার ওপরে শেখ হাসিনার ছবি নাই। শেখ হাসিনার ছবি আছে জননেতা ফজলে হোসেন বাদশার মাথার উপরে। আপনারা যারা শেখ হাসিনার নাম নিয়ে, আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে অন্য কোন প্রতীকে ভোট চাইছেন, তারা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। আমি রাজশাহী বাসীর প্রতি আহবান জানাই- এসব প্রতারণাকে উৎরিয়ে গিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী জননেতা ফজলে হোসেন বাদশাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করুন।
সোনালী/জেআর