শেখ হাসিনার বাইরে জনগণের অন্য কোথাও আস্থা নেই: বাদশা
স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত ও নেতৃত্বের বাইরে জনগণের অন্য কোথাও তিল পরিমান আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী-২ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা।
তিনি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার করে জোটনেত্রী প্রতিদিন নৌকায় ভোট চাইছেন। আমাদের বিশ্বাস, জাতির জনকের কন্যা যে প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন; সেই প্রতীকের বাইরে অন্য কোন প্রতীকে জনগণের কোন আস্থা নেই।
শুক্রবার বিকালে নগরীর বালিয়াপুকুর ছোট বটতলা থেকে শুরু করে ভদ্রা পর্যন্ত নির্বাচনি প্রচারণা ও গণসংযোগকালে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এমপি বাদশার প্রচার মিছিলে স্থানীয় পর্যায়ের অসংখ্য নারী পুরুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
চতুর্থবারের মতো সদর আসনে নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গণমানুষের যে অবাধ সমর্থন আছে; তা রাস্তায় না নামলে বোঝার উপায় নেই। আমি প্রতিদিনই মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। বুঝতে পারছি, মানুষের উপলব্ধির পুরো জায়গা জুড়েই রয়েছেন শেখ হাসিনা। সুতরাং নৌকার বাইরে অন্য যেকোনো প্রতীকের প্রতি গণমানুষের কোন বিশ্বাস নেই।
বাদশা বলেন, আমি সব সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতি করেছি। এখন যখন তাদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছি; তখন অনুভব করছি, তারা আমার থেকে তিল পরিমানও বিশ্বাস হারায়নি। তারাই আমার মিছিলে আসছে। তারাই আমার হয়ে ভোট চাইছে। এটি আমার জীবনের অনেক বড় পাওয়া।
৭ জানুয়ারি নৌকার জয় সুনিশ্চিত উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের অন্যতম এই নেতা আরও বলেন, রাজশাহীর মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আমাকে টানা তিনবার এই আসনে নির্বাচিত করেছে। তারা আমার প্রতি যে প্রত্যাশা করে তা কখনোই আমি ক্ষুন্ন হতে দেইনি। জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাইরে যায়, এমন কোন কাজ করিনি বলেই প্রধানমন্ত্রী আবারও আমার ওপরে আস্থা রেখেছেন।
বর্ষিয়ান এই রাজনীতিক বলেন, পুরো শহরজুড়ে এখন নৌকার গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। নৌকার পক্ষে আমাদের মা বোনেরা সক্রিয়ভাবে মাঠে নেমেছেন। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। নেত্রী নিজেও প্রতিদিন নৌকা মার্কায় ভোট চাইছেন। সব মিলিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা বিপুল ভোটে জয়লাভ করছে, এটি পুরোপুরিভাবে সুনিশ্চিত।
গণসংযোগকালে এমপি ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেত্রীবৃন্দসহ সাধারণ জনতা উপস্থিত ছিলেন।
সোনালী/জগদীশ রবিদাস