স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীর ওপর হামলায় ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রায়হানুল হকের এক সমর্থককে নৌকা প্রতীকের কার্যালয়ে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে চারঘাট মডেল থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী নাজির হোসেনের বড় ভাই মো. উজির আলী।
এতে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসামিরা সবাই নৌকার কর্মী। আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মামলায় চারঘাটের সরদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আদিল আলী (৩৬), চারঘাট পৌর বাস্তুহারা লীগের সভাপতি ও চারঘাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শামীম সরকার (৪০), চারঘাটের আস্করপুর সরকারপাড়া গ্রামের মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে মো. রাসেল সরকার (৩৫), বথুয়া কদমতলা গ্রামের মো. হাসান আলী (২৮), সাদিপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত জব্বার আলীর ছেলে মো. ফিরোজ আলী (৩৫),
গৌড়শহরপুরের মৃত আবু তালেবের ছেলে ফয়সাল হোসেন ওরফে ডন (৩৫) ও আস্করপুরের মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো. বাপ্পিকে (২৫) আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ফয়সাল ও বাপ্পিকে পুলিশ রাতেই গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রায়হানুল হকের কর্মী নাজির হোসেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চারঘাটের আস্করপুর গ্রামের সারদা বাজারে নৌকা প্রার্থীর অফিসের সামনে পৌঁছালে আসামিরা তাকে হাঁসুয়া, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে পথ রোধ করে গালিগালাজ করতে থাকেন।
গালিগালাজ করতে মানা করলে ইউপি সদস্য আদিল আলীর হুকুমে অন্য আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে মারতে নৌকা প্রার্থীর অফিসের ভেতরে নিয়ে যান।
আদিল হাঁসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশে তার ভাইয়ের কপালের বাঁ পাশে কুপিয়ে জখম করেন। লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে তার বাঁ হাতের পাঁচ আঙুলে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। পরে নাজিরের চিৎকারে অন্যরা এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার মাথায় ছয়টি সেলাই লেগেছে।
মামলার অন্যতম আসামি অভিযুক্ত শামীম সরকার বলেন, তিনি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তার ওখানে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। যদি হঠকারী কেউ এটা করে থাকেন তার নামে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান বলেন, রাতেই মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
সোনালী/জেআর