ঢাকা | সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ - ৫:৩৪ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে বর্ণিল আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপন

  • আপডেট: Sunday, December 17, 2023 - 11:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে বর্ণিল আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে প্রথম প্রহর থেকে শহিদ মিনারগুলোতে শ্রদ্ধা জানাতে ভীড় জমায় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাজশাহী কলেজের শহিদমিনার, ভুবনমোহন পার্ক শহিদমিনার, বিশ্ববিদ্যালয় শহিদমিনার, কোর্ট শহিদমিনারে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে নগরীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কুচকাওয়াজের উদ্বোধন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

প্রথম প্রহরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনারে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশপাশি সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শনিবার সকাল ১১টায় সিএন্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ। এরপর কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলখানা, এতিমখানায় উন্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজশাহীজুড়ে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর কুমারপাড়াস্থ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে আলাদাভাবে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন মহানগর আওয়ামী ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শনিবার সকাল থেকে রাজশাহীর জেলা উপজেলার শহিদ মিনারগুলোতে ফুল দিয়ে শহিদদের শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে শহিদ মিনারগুলোতে ভিড় জমায় লোকজন। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বের করা হয় বর্ণাঢ্য র‌্যালি।

শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে রাজশাহী কলেজ থেকে একটি বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কলেজে গিয়ে শেষ হয়। এসময় কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষকরা শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী জেলা প্রশাসন
ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জেলা পুলিশ লাইন্সে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার মো: সাইফুর রহমান, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সংস্থার প্রধান, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এদিকে শনিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার মো: সাইফুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাদী, প্রফেসর (অব.) ড. শামসুল আলম বীর প্রতীক বক্তৃতা করেন। এছাড়াও হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধাশ্রম, ছোট মনিনিবাস; অন্ধ, মূক ও বধির বিদ্যালয়, সেফ হোম, এসওএস, শিশুপল্লি, শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও বেসরকারি এতিম খানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করেন। শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ জোহর মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং সুবিধামতো সময়ে অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। দিনটি লক্ষ্য রেখে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির রাজশাহী কার্যালয় চিত্রাঙ্কন, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রাসিক
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গত শনিবার বেলা ১১টায় সিএন্ডবি মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ।

এরপর কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এর আগে নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি সিএন্ডবি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। দিবসটি উদ্যপনে গঠিত কমিটির আহবায়ক ও রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযীমের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।

কর্মসূচিতে রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, প্যানেল মেয়র-৩ ও ১নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর তাহেরা খাতুন মিলি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, কমিটির সদস্য ও ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, কমিটির সদস্য ও ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, কমিটির সদস্য ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান নাসিকের অন্যান্য কাউন্সিলর বৃন্দসহ রাসিকের সচিব মোবারক হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ নুর-ই-সাঈদ, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, রাসিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ ও সাধারণ সম্পাদক আজমির আহাম্মেদ মামুন, সকল বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া পরিচালনা করেন নগর ভবন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ আবুল খায়ের। মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে আরো ছিল, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নগর ভবনসহ ওয়ার্ড কার্যালয় ও কর্পোরেশন কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বাদ জোহর সোনাদিঘি জামে মসজিদ ও নগর ভবনের মসজিদে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, আত্মদানকারী, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে নগর ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও রাস্তাঘাট আলোকায়ন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়সমূহ, নগর ভবনে ড্রপডাউন, নগরীর তিনটি স্থানে ওভার হেড ব্যানার প্রদর্শন।

রাবি
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের স্মরণে বিভিন্ন আয়োজন ও অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ দিবসটি উদ্যাপন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। এদিন ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সকাল সোয়া ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার শহীদ মিনারে ও সকাল সাড়ে ৭ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং সকাল পৌনে ৮ টায় বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম, অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ, ইনস্টিটিউট পরিচালক ও বিশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

সকাল পৌনে ৯ টা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল মাঠে খেলাধুলা ও সকাল সাড়ে ৯ থেকে শেখ রাসেল মডেল স্কুল মাঠে আনন্দ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য এসব আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাসসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণও এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এরপর সকাল ১০টায় সাবাস বাংলাদেশ চত্বরে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেঞ্জারের প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।

এসময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা)সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। বেলা ৩টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় স্মৃতিচারণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান এবং আলোচনা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানান ও সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট উপহার দেন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামানিক। আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শামসুল আলম বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। রেজিস্ট্রার প্রফেসর আবদুস সালাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। দিবসের কর্মসূচিতে আরো ছিল, সকাল সাড়ে ৬ টায় ম্যারাথন, সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। উপাচার্য এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও উপাচার্য পত্নী অধ্যাপক তানজিমা ইয়াসমিন পুরস্কার প্রদান করেন।

একই সময়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাবি ইউনিট কমান্ড, রাবি অফিসার সমিতি এবং সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতি ও সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন কর্তৃক নিজ নিজ উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টা থেকে শেখ কামাল স্টেডিয়ামে শিক্ষক, অফিসার, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের প্রীতি ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচ, প্রীতি ভলিবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন খানি ও মিলাদ মাহফিল এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় শহীদ মিনার মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর ক্যাম্পাস আলোকসজ্জিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচি ছাড়াও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন বিভাগ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজ নিজ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করে।

রুয়েট
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) গত শনিবার দিনব্যাপী নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এরপর সকালে রুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্মানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। রুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী সমিতি, বিভিন্ন হলসমূহ, ছাত্রলীগ রুয়েট শাখা সহ অন্যান্য সংগঠন পৃথক পৃথক ভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এর পরপরই উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ক্যাম্পাসে অবস্থিত শহীদ ছাত্রদের কবর জিয়ারত করেন।

এরপর শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছেলে মেয়েদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগিতা ও স্মার্ট ভিলেজ শীর্ষক প্রজেক্ট শোকেসিং প্রতিযোগিতা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ইভেন্টের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কমপ্লেক্সে চক্ষু, দন্ত এবং ফিজিওথেরাপী ইউনিটের কার্যক্রম এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য। দুপুরে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।

অনুষ্ঠানে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রবিউল আওয়ালের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড.কামরুজ্জামান রিপন, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. রোকনুজ্জামান, ফলিত বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আব্বাস আলী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আরিফ আহম্মেদ চৌধুরী, কর্মকর্তা সমিতির সহ-সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুন্না।

আলোচনা সভা শেষে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এদিন বাদ যোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। কর্মসূচি সমূহে বিভিন্ন অনুষদের ডীন,পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর ও শাখা প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেন। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হয় এবং হল সমূহে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

জেলা পরিষদ
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে রাজশাহী জেলা পরিষদ। দিবসটি উপলক্ষে গত শনিবার সকাল ১০ টায় নিজ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৭ টায় মহান বিজয় দিবস স্মরণে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পক্ষে থেকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থিত শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তুবক অর্পণ করেণ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসান, চেয়ারম্যানের সহকারী ফজলে এলাহী (সোহেল), সহকারী প্রকৌশলী এজাজুল আলম, হিসাবরক্ষক আব্দুল মতিন, সার্ভেয়ার আলিফ আলী সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল সূর্যোদয়ের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শোভাযাত্রা, স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের স্মরণে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসটির উদযাপন শুরু হয়। এরপর সকাল ৯টায় বাসযোগে একটি বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। পরে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহার নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হতে যাত্রা শুরু করে ক্যাম্পাসের অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল মিফতার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা। প্রধান অতিথি ও আলোচক হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক চৌধুরী জুলফিকার মতিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড.ফয়জার রহমান। বিজয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্যে প্রধান অতিথি অধ্যাপক চৌধুরী জুলফিকার মতিন বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমপর্ণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকার স্থান পাওয়ার দিন। যে সব বীর সন্তানের প্রাণের বিনিময়ে এই পতাকা ও মানচিত্র এসেছে, তাদের শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমেই এই দিবসের মহিমা প্রকাশ পাবে আজ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফয়জার রহমান। শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে সভাপতির বক্তব্যে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘স্বাধীনতায় প্রাণ দিয়েছেন সকল বীর সন্তানের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। বর্তমান প্রজন্মকে ১৯৭১-এর চেতনায় উজ্জীবিত করতে হবে।’

এছাড়াও তিনি অতিথি, আয়োজক কমিটি ও উপস্থিত সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের কো-অর্ডিনেটর শাতিল সিরাজ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. হাবিবুল্লাহ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, কো-অর্ডিনেটরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। আলোচনা পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করে।

নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি
যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এনবিআইইউ) পক্ষ থেকে । দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে রাজশাহী মহানগরীর চৌদ্দপাই-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এছাড়া সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় শহীদ মিনারে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ও উপদেষ্টা প্রফেসর ড.আবদুল খালেক, উপাচার্য প্রফেসর ড.বিধান চন্দ্র দাস, ট্রেজারার প্রফেসর আনসার উদ্দিনসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ। এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে ক্যাম্পাসের টিএসসি চত্বরে আলোচনা সভা ও শিক্ষক ক্যারাম প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান নারীনেত্রী ও সুসাহিত্যিক অধ্যাপিকা রাশেদা খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি ট্রেজারার প্রফেসর আনসার উদ্দিন, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মকসুদুর রহমান, কলা ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর আব্দুর রঊফ। শিক্ষক হাসান ঈমাম সুইট ও ড. আব্দুল কুদ্দুসের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক- কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বিজয় দিবস শিক্ষক ক্যারাম প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী এর আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহর ১২.০১ মিনিটে রাজশাহী নিউ গভ: ডিগ্রী কলেজ শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রমের সূচনা করা হয়। সকাল ১০ টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সকাল সোয়া ১০ টায় শিক্ষা বোর্ড কলেজ পরিদর্শক এনামুল হকের সভাপতিত্বে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.অলীউল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব হুমায়ূন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আরিফুল ইসলাম, বিদ্যালয় পরিদর্শক জিয়াউল হক, উপ-পরিচালক(হিসাব ও নিরীক্ষা)বাদশা হোসেন, সিনিয়র সিস্টেম এনালিষ্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ডে কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ন কবীর। সভায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক আবু দারদা খান, সিনিয়র সিস্টেম এনালিষ্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বিদ্যালয় পরিদর্শক জিয়াউল হক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আরিফুল ইসলাম, সচিব হুমায়ূন কবীর, কলেজ পরিদর্শক এনামুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের প্রধান মূল্যায়ন অফিসার (চলতি দায়িত্ব) এস.এম. গোলাম আজম। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে বাদ আসর শিক্ষা বোর্ড জামে মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আত্মদানকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন শিক্ষা বোর্ড জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হাশেম মো: রহমাতুল্লাহ।

বাউবি
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ আঞ্চলিক কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আঞ্চলিক পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু বাককার-এর নেতৃত্বে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন।

এরপর সকাল ৮টায় পবা উপজেলা প্রাঙ্গনে অবস্থিত শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সকাল ৯টায় আঞ্চলিক কেন্দ্রে আলোচনা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া, দিনব্যাপী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ, দেশাত্ববোধক গান ও কবিতা পিএ সিস্টেম/সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে প্রচার করা হয়।

রাকাব
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কর্পোরেট শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মোখলেসুর রহমানসহ শাখার অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, রাজশাহীতে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আঃ রহিম রাজশাহী জেলা প্রশাসন চত্বরের স্মৃতিস্তম্ভে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন রাকাব পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ; প্রধান কার্যালয়ের নিরীক্ষা, হিসাব ও আদায় মহাবিভাগের মহাব্যবস্থাপক মাকসুদা নাসরীন; প্রশাসন মহাবিভাগের মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) শওকত শহীদুল ইসলাম; প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ; প্রজেক্ট ডাইরেক্টর, এসইসিপি, রাজশাহী; জোনাল ব্যবস্থাপক, রাজশাহী; সহকারী মহাব্যবস্থাপক, স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়, রাজশাহী; রাকাব কর্মচারী সংসদ (রাজ-৬১১); রাকাব অফিসার্স এসোসিয়েশন; রাকাব অফিসার্স ফোরাম ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ প্রধান কার্যালয়, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট; বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহী; বিভাগীয় নিরীক্ষা কার্যালয়, রাজশাহী; এসইসিপি, রাজশাহী এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

বিএমডিএ
দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। শনিবার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় রাজশাহী বরেন্দ্র ভবনে ও সকল জোন ও রিজিওন অফিসে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় দিবসটি। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও রাজশাহী নগরীর কোর্ট এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি স্তম্ভে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদের নেতৃত্বে সকালে পুষ্পস্ববক অর্পনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। পরে বিএমডিএ সম্মেলন কক্ষে মহান বিজয় দিবস-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স¥রণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম তুলে ধরা হয় ও বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) অতি: প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদা, অতি: প্রধান প্রকৌশলী ড. আবুল কাশেম, অতি: প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবির আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সমসের আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জিন্নুরুইন খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ.টি.এম মাহফুজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী ও কাউন্সিল মেম্বার আইইবি শরিফুল ইসলাম, রাহাত পারভেজ সাধারণ সম্পাদক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যাসোসিয়েশন, বিএমডিএ শাখা, বিএমডিএ কর্মচারী ইউনিয়ন রাজ-১৫০০ এর সাধারণ সম্পাদক জীবন, রাজ ৩০৪২ সিবিএ সভাপতি মেসবাউল হক সহ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-ব্যবস্থাপক (কৃষি), মনিটরিং অফিসার ও সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দসহ সকলে উপস্থিত ছিলেন।

আহ্ছানিয়া মিশন
আহ্ছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে ছিল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র‌্যালিসহ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শহীদুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশল অনুষেদর ডীন, প্রফেসর ইকবাল মতিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন, প্রফেসর ড. আখতার উদ্দীন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. আলাউদ্দিন ও শিক্ষক ড. ইশরাত আরা কেকা। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ইইই বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মতি পিন্টু। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচনার শেষে কবিতা আবৃতি করেন শিশুশিল্পী আলিজা ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনা করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি বিভাগের শিক্ষার্থী মেহরিন নুসরাত চৌধুরী এবং পদার্থ বিভাগের প্রভাষক ড. ইশরাত আরা কেকা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। সব শেষে শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।

শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র
নীরব ছবির সরব প্রকাশ মনের মুকুরে এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহী শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও বরেন্দ্র শিশু থিয়েটার, রাজশাহীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দ্বিজেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজশাহী নগরীর ঐতিহ্যবাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী দ্বিজেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর একক বর্ণাঢ্য তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পবিষদের সদস্য এবং শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটি চেয়ারম্যান,নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ও বর্তমান উপদেষ্টা এবংর্ রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড.আবদুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি উপাচার্য, ও সাবেক অধ্যাপক প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র দাস এবং রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগীয় প্রধান ড. নূরজাহান বেগম। সভাপতিত্ব করেন সিরোইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক, দ্বিজেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী। সভাপতি, দ্বিজেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী বলেন,মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু, দেশ, জাতি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বিশে^র নানাবিধ ইতিহাসকে ধারণ করে তা তথ্যচিত্রের মাধ্যমে আপনাদের কাছে লুকায়িত জ্ঞানকে প্রকাশের সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’’

দেশ ও বিদেশ তথা বিশে^র সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, ঐতিহ্য মহান আত্মত্যাগী মানবের ইতিহাস, জীবন , জীবিকা স্থান পায় এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনীতে। এই প্রদর্শনীতে দর্শকবৃন্দের জন্য একাধিক মতামত লিপিবদ্ধ খাতা সরবরাহ করা হয়। সেই খাতায় দর্শনার্থীগণ তাদের নিজ নিজ মতামত লিপিবদ্ধ করেন এবং দ্বিজেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীকে এই রকম তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা ও এর উৎকর্ষ সাধন এবং এটিকে সরকারিভাবে সংরক্ষণের জন্য জ্ঞানীগুণি ব্যক্তিবর্গ তাকে অনুরোধ করেন।

রেশম বোর্ড
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত শনিবার সকাল ৮ টায় বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আনওয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। বিজয় র‌্যালি শেষে ভদ্রাস্থ স্মৃতি অম্লানে স্বাধীনতার বীর শহিদদের স্মরণে বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং মহান বিজয় দিবস উদযপিন উপলক্ষে বোর্ডের প্রধান কার্যালয় আলোক সজ্জায় সজ্জ্বিত করা হয়। সকাল ৯ টায় টায় মহাপরিচালক-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এ সময় বোর্ডের পরিচালক(অর্থ ও পরিকল্পনা) ড. এম. এ মান্নান, পরিচালক(উৎপাদন ও বিপণন) ও পরিচালক(গবেষণা ও প্রশিক্ষণ) নাছিমা খাতুন, পরিচালক(সম্প্রসারণ) ও পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ এমদাদুল বারী, সিবিএ সভাপতি আবু সেলিম সহ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সোনালী ব্যাংক পিএলসি
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোনালী ব্যাংক পিএলসি, রাজশাহী জেনারেল ম্যনেজার’স অফিস প্রাঙ্গণে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে সোনালী ব্যাংক পিএলসি, জেনারেল ম্যনেজার’স অফিসের পক্ষ থেকে গত শনিবার মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপনসহ বঙ্গবন্ধু চত্বর, সিএন্ডবি মোড়, রাজশাহীতে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ম্যনেজার’স অফিস, রাজশাহীর জেনারেল ম্যানেজার মীর হাসান জাহিদ ও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহাদত হোসেন, প্রিন্সিপাল অফিস রাজশাহীর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামরুজ্জামান এবং কাজী মেহেদী হাসান,আবু খালেদ,ইব্রাহিম,আহমেদ তারিক হাসান, মুনিরুল ইসলাম, বিভূতি ভূষণ মন্ডল,মনিরুজ্জামান এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার এবং সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সোনালী ব্যাংক পিএলসি রাজশাহী অঞ্চলের সর্বস্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ।

সোনালী/জগদীশ