ঢাকা | অক্টোবর ১৯, ২০২৪ - ৫:৪৪ অপরাহ্ন

পুলিশের বিরুদ্ধে চাপ দিয়ে মামলায় নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ

  • আপডেট: Wednesday, December 13, 2023 - 10:15 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে চাঁদাবাজি মামলায় বাদীকে ভয় দেখিয়ে দুই জন নিরপরাধ মানুষের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে কাশিয়াডাংগা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

ওই মামলার বাদী তাজারুল ইসলাম পলাশ সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ তুলে করেছেন। বুধবার রাত ৮টায় এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাদী ও ভুক্তভোগী ওই দুই ব্যক্তি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাদী গোদাগাড়ী উপজেলার বামনাইল গ্রামের তাহসিন আলীর ছেলে তাজারুল ইসলাম পলাশকে (৩১) তার হড়গ্রামের ভাড়া বাসায় আটক রেখে নির্যাতন করে চাঁদা দাবিসহ মালামাল চুরি করে নেয় আসামিরা।

মামলার আসামীরা হলেন, কাশিয়াডাংগা থানা এলাকার হড়গ্রাম পালপাড়া’র ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে আসিব ইকবাল লিটন (৩২), আরিফ ইকবাল হাসান (২৮), একই এলাকার খায়রুল হকের ছেলে ইসলামুল হক (৩৩), ওই এলাকার খাজার ছেলে সাগর ওরফে লতা সাগর, গুড়িপাড়া এলাকার এসারুল (৩২) এবং জানেমুল (৩৫)।  মামলায় এসারুল ও জানেমুলের নাম বাদীকে চাপ দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করানো হয়েছে বলে দাবি করেন মামলার বাদী পলাশ।

পলাশ সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর ইব্রাহিম মিয়ার বাসায় ভাড়া দিতে (বাদীর ভাড়াকৃত বাড়ি) যায়। সেখানে তাঁকে নির্যাতন করেন আসামীরা। সে সময় আসামীরা তাকে নির্যাতন করে নগদ অর্থসহ ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা চায়। বাদী নিজে বাঁচতে মামলায় জোরপূর্বক ঢুকানো অপর আসামী তাঁর পূর্ব পরিচিত এসারুল ও জানেমুলকে ঘটনাস্থলে ডাকেন। সেখানে তারা গিয়ে বাদিকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। এরপর বাদি ৯৯৯ লাইনে ফোন দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে উদ্ধার হয়।

পলাশ বলেন, এ ঘটনায় বাদিকে কয়েক দফায় রিয়ার সেল দিয়ে এসারুল ও জানেমুলের নাম মামলা দিয়ে বাধ্য করা হয়। এস আই মীর আরমান হোসেন বাদীকে জোরপূর্বক ওই দুই ব্যক্তির নাম এজাহার দিতে বলেন। অন্যথায় মামলা হবে না। এমনকি তাকেই উলটো গ্রেফতার করা হবে বলে জানান। বাদির উদ্ধারকৃত টাকা মোবাইলও দেয়নি পুলিশ। বাদির কাছেও মোটা অংকের অর্থ দাবি করেন এস আই আরমান।

বাদি আরও বলেন, আমি পুলিশকে বলেছি, এসারুল ও জানেমুল আমাকে উদ্ধার করতে এসেছিল। আমি নিজে তাঁদের ডেকেছি। তবুও পুলিশ আমার কথা না শুনে তাঁদের নাম মামলায় দেয়। কি উদ্দেশে তাদের নাম মামলা দিয়েছে তা আমি জানি না।

এনিয়ে জানতে চাইলে কাশিয়াডাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান গণমাধ্যমকে বলেন, এই থানায় আমার যোগদান মাত্র কয়েকদিন। বিষয়টি এমন হওয়ার কথা নয়। বাদীর অভিযোগেই মামলা নেয়া হয়েছে। তবুও বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সোনালী/জেআর