রাজশাহী থেকে শিশু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নাটোরে নেয়ার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী থেকে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (ছেলে ইউনিট) নাটোরে দুস্থ ও ভবঘুরে প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি থেকে রাজশাহী শিশু হাসপাতাল দ্রুত চালুর দাবিও জানানো হয়। এতে রাজশাহীর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, রাজশাহীতে নতুন শিশু হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়েছে ১০ মাস আগে। ভবন পড়ে থেকে পুরোনো হয়ে যাচ্ছে। অথচ এখনো এ হাসপাতালটি চালু করা হয়নি। এটি স্বাস্থ্য বিভাগের চরম গাফিলতি। পূর্ণাঙ্গ এই শিশু হাসপাতাল চালু না হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে শিশুদের গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। এই শীতে শিশু রোগী বেড়ে যাওয়ায় সেখানে বেহাল অবস্থা।
শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নাটোরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানানো হয়। বক্তারা আরও বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি করে চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে হবে। চিকিৎসক ও জনবল সংকট অবিলম্বে নিরসন করতে হবে। রাজশাহী অঞ্চলে পানির সংকট নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে প্রস্তাবিত উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প চালুর দাবিও জানানো হয়। এ ছাড়া রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণসহ অবিলম্বে অবকাঠামো নির্মাণ শুরুর দাবি জানানো হয়। রাজশাহী ডেন্টাল ইউনিট পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল হাসপাতালে রূপান্তরেরও দাবি জানানো হয়েছে।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলী এতে সভাপতিত্ব করেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী নগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নেতা আফজাল হোসেন, প্রবীন সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, রাজশাহী নগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবীর বাবু, সমাজসেবক শাহীন আলী, প্রকৌশলী খাজা তারেক, আবদুল মতিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুবুর রহমান মুক্তি, গ্রীণ ভয়েজের সাবেক সভাপতি আবদুর রহিম, নারী নেত্রী ও বাপা সহসভাপতি সেলিনা বেগম, রুমানা খান, রোজিবা বেগম, কেএম জুবায়েদ জিতু, লাকী বেগম প্রমুখ।
সোনালী/জেআর