ঢাকা | নভেম্বর ২৬, ২০২৪ - ৮:৫১ অপরাহ্ন

দল ত্যাগ করে বিএনপির অর্ধশত নেতা ভোটে

  • আপডেট: Monday, December 4, 2023 - 1:05 am

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও দলের অর্ধশতাধিক সাবেক নেতা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই হলেন সাবেক এমপি, পদত্যাগী ও দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা। এ ছাড়া কেন্দ্রের মাঝারি গোছের নেতাসহ জেলা উপজেলা পর্যায়ের স্থানীয় অনেক নেতাও আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।

এর মধ্যে একমাত্র দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম সরাসরি দল ছেড়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে তিনি ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

এর আগে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বিএনপির টিকিটে ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০০১ সালের নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ধানের শীষ প্রতীকের পরিচিত মুখ শাহজাহান ওমর জেল থেকে বেরিয়ে এবার হলেন নৌকার প্রার্থী। যথারীতি পদসহ দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

জানা গেছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির সাবেক পাঁচজন সংসদ সদস্য। এর বাইরে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্যও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই দীর্ঘদিন দলে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া বিএনপির সাবেক ও বহিষ্কৃত নেতাদের সংখ্যাটি ১৮ জনের মতো। এর বাইরে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপি এবং বিএনএম থেকে নির্বাচন করছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের আরও ১৯ জন সাবেক নেতা। কেন্দ্রের মাঝারি গোছের নেতাসহ জেলা উপজেলা পর্যায়ের স্থানীয় অনেক নেতাসহ সব মিলিয়ে বিএনপির প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এদের মধ্যে বিএনপি নেতা ও সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহজাহান সিরাজের মেয়ে সারওয়ার সিরাজ শুক্লা শুক্লা টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এজন্য তার মা রাবেয়া সিরাজকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কারের বিষয়ে রাবেয়া সিরাজ বলেন, আমি খুবই অসুস্থ। আমার স্বামী স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। জত্নর পর থেকেই নানা ধরনের চাপ নিয়ে বড় হয়েছি। মেয়ের বিজয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী বলে জানান।

এদিকে বিএনপির সাবেক এমপিসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, তারা দীর্ঘদিন বিএনপি করলেও কোনটা ভুল, কোনটা সঠিক সিদ্ধান্ত, এটি এখনো বুঝতে পারেননি। তাই তারা চলে যাওয়ায় বিএনপির জন্য ভালোই হয়েছে। মনোনয়ন পর্যালোনা করে দেখা যায়, বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ার চারটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দলটির পদবঞ্চিত সাবেক চারজন নেতা।

এর মধ্যে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রার্থী হয়েছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি জিয়াউল হক মোল্লা। তিনি জানান, দীর্ঘদিন দল তাকে মূল্যায়ন করেনি। এর আগে সংস্কারপন্থি আখ্যা দিয়ে তাকে মনোনয়নবঞ্চিত করা হয়েছে। তাই নিজের রাজনীতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। জিয়াউল হক মোল্লার বাবা আজিজুল হক মোল্লাও বগুড়া-৪ আসনের এমপি ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর ১৯৯৪ সালে একই আসনের উপনির্বাচনে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন জিয়াউল হক।

এরপর ১৯৯৬ সালে দুবার (১৫ ফেব্রুয়ারি ও ১২ জুন) এবং ২০০১ সালের অক্টোবরের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। জিয়াউল হক মোল্লা ছাড়াও বগুড়া থেকে আরও যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মদ শোকরানা। তিনি বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক বিউটি বেগম। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।

আর বগুড়া-৭ (শাজাহানপুর-গাবতলী) আসনে প্রার্থী হয়েছেন সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সরকার বাদল। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সবার একই অভিযোগ- দীর্ঘদিন দল তাকে মূল্যায়ন করেনি। সংস্কারপন্থি পরিচয় আখ্যায়িত করে মনোনয়নবঞ্চিত করা হয়েছে। অতএব, এবার নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অপর সদস্য শাহ্ শহীদ সারোয়ারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক এমপি। ২০০১ সালে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ ও ২০১৮ সালেও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিএনপির আরেকজন সাবেক এমপি দেলোয়ার হোসেন খান ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসনে ২০০১ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি জয়ী হয়েছিলেন।

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের বিএনপির সাবেক এমপি খন্দকার আনোয়ারুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনিও নিজেকে দলের ভিতরে বঞ্চিত ও অবহেলিত বলে উল্লেখ করেন। তাই নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপির একাধিকবারের সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কঠিয়াদি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বিএনপির টিকিটে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে টানা দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তিনি ২০০১ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপি থেকে। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন। বিএনপির এই নেতা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দলের স্বার্থপরিপন্থি বেফাঁস কথা বলার জন্য কয়েক দফা বহিষ্কৃত হন। সর্বশেষ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কুমিল্লা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ। সাংবাদিকতা ছেড়ে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া এই সাংবাদিক নেতাকে চলতি বছরের ২১ মার্চ দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। দলের অনুমতি ছাড়া ‘জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’ নামের একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হবার পর তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হন। এই সংগঠনের কর্মকান্ড নিয়ে বিএনপিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়।

নির্বাচনের অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, সমর্থকদের চাপে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। ইনসাফ কমিটি করে দল ভাঙার যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠেছে, তা সত্যি নয়। অন্য কোনো দলেও আমি যাইনি। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে গেলে জনগণ মতপ্রকাশের সুযোগ পেত। কারণ এবারের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্ব যেভাবে তীক্ষ নজর রাখছে, তাতে সরকার ভোট জালিয়াতি করার সুযোগ খুব বেশি পাবে না। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে। তাকেও দলের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির নির্বাহী কমিটি থেকে বহিষ্কৃত আরেক নেতা আবুল কাশেম ফখরুল ঝালকাঠি-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। একইভাবে নির্বাহী কমিটির বহিষ্কৃত হওয়া বিএনপি নেতা খন্দকার আহসান হাবিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৫ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বক্শীগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহাবুবুল হাসান। গত ২৮ নভেম্বর তাকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এ ছাড়া আরও যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন- সুনামগঞ্জ-৩ আসনে দলের সাবেক এমপি শাহীনুর পাশা চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি উকিল আবদুস সাত্তারের ছেলে মাইনুল হাসান, গাজীপুর-১ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও করটিয়া সাদত কলেজের সাবেক ভিপি মনিরুল ইসলাম মিন্টু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, ময়মনসিংহ-৯ আসনে সাবেক ছাত্রদল নেতা আবু জুনায়েদ বিল্লাল, মৌলভীবাজার-১ আসনে জেলা বিএনপি নেতা মো. আনোয়ার হোসেন, ঢাকা-৩ আসনে ছাত্রদল নেতা ইমান আলি ইমন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ভাসানী, নীলফামারী-১ আসনে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট নুর কুতুব আলম চৌধুরী, মৌলভীবাজার-১ আসনে নির্বাচন করছেন জুড়ী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নেত্রকোনার মদন উপজেলা বিএনপি নেতা ও কৃষক দলের আহ্বায়ক আল মামুন, বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাসাস নেত্রী ডলি সায়ন্তনী প্রমুখ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট (বিএনএম) থেকে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির তিনজন সাবেক এমপি। এদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদপুর-১ আসনের শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, বরগুনা-২ আসনের আবদুর রহমান এবং সুনামগঞ্জ-৪ আসনে দেওয়ান শামসুল আবেদিন। বিএনএমের মনোনয়নে আরও নির্বাচন করছেন রাজশাহী-৩ আসনে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র আবদুল মতিন। শেরপুর-১ আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

একইভাবে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনভুক্ত দল তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে নির্বাচন করছেন বিএনপির ১৩ জন নেতা। তৃণমূল বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা সমশের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার। দুজনই ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। সমশের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ ও তৈমুর আলম নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। এই দলের প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপির সাবেক এমপিরা হলেন মৌলভীবাজার-২ আসনের এম এম শাহীন, ঝিনাইদহ-২ আসনে নুরুদ্দিন আহমেদ ও মেহেরপুর-২ আসনে আবদুল গণি। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এম এম শাহীন এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রথমবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়ী হন।

২০০১ সালের নির্বাচনে দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে ভোট করে আবার জয়লাভ করেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন চট্টগ্রাম-৫ আসনে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি তাইজাল হক চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মোজাফফর আহমেদ ঠাকুরগাঁও-২, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি আবদুল কাদির তালুকদার চাঁদপুর-৪ ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির নেতা জব্বার সরকার গাজীপুর-১ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন। পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসনে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন। শেরপুর-২ আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন শেরপুর জেলা বিএনপির সহদফতর সম্পাদক মো. জায়েদুর রশীদ। টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচন করছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ।

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচনে যাদের স্বতন্ত্র বা বিভিন্ন দলের প্রার্থী হিসেবে দেখতে পাচ্ছেন, তারা প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। আরেকটা একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, দল ভাঙার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দল থেকে বিভিন্ন উপায়ে নেতা ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের এই অপচেষ্টাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।

বিএনপির অপর যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, একমাত্র ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ছাড়া আর সবাই গুরুত্বহীন। এদের এই প্রতারণার নির্বাচনে নিতে পেরে আওয়ামী লীগ খুব খুশি। তবে দল (বিএনপি) ভাঙার মিশনে আওয়ামী লীগ পুরোপুরি ব্যর্থ।

সোনালী/জেআর