ঢাকা | জানুয়ারী ১১, ২০২৫ - ৯:৫০ অপরাহ্ন

নির্বাচন শেষ হলে বিদেশিরা চুপ হয়ে যাবে: জয়

  • আপডেট: Sunday, November 19, 2023 - 1:00 am

অনলাইন ডেস্ক: বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, অনেকেই মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের উসকে দিচ্ছে। যেহেতু নির্বাচন সামনে, আমি অনুরোধ করব, এদের কথায় কান দেবেন না। বিশেষ করে অনেক বিদেশি রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের আগে অনেক বেশি কথা বলা শুরু করেন। ঠিক তখনই এই সন্ত্রাস, সংঘর্ষ, জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়। তার মানে কি? তাদের এরাই উসকে দিচ্ছেন। তবে চিন্তা করবেন না, যেদিন নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে, তারাও চুপ হয়ে যাবে।

আর বেশি দিন নাই, মাত্র দেড় মাস। সামনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাইলে আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। গতকাল দুপুরে সাভারে শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সপ্তমবারের মতো আয়োজিত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এবার দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের ১২টি সংগঠনকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

বিজয়ীদের হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ১৫ বছর ধরে দেখেছে দেশ কোথা থেকে কোথায় এসেছে। উন্নয়নের এই গতি ১৫ বছর আগে কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি, বাংলাদেশ যে এতদূর আসবে। তিনি বলেন, এই গতি যদি ধরে রাখা যায়, আগামী ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে। আর আগামী ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত বলে কোনো দল টিকবে না, তখন বাংলাদেশে শান্তি আসবে। তখন এই জঙ্গিবাদ মৌলবাদী শক্তির বাংলাদেশ থেকে চিহ্ন মুছে যাবে। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, নির্বাচনের সময়, নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ।

নতুন সমস্যা, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস। জ্বালাও পোড়াও, নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ। এই সমস্যাও কিন্তু দুর করা যায়। বিগত তিন নির্বাচন ধরে তাদের এই নির্যাতন। প্রত্যেক নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে তারা জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। এটার মোকাবিলা কি? খুব সহজ, মোকাবিলা হচ্ছে, সামনের নির্বাচনে ভোট দেবেন। যারা জ্বালাও-পোড়াও করছে তাদের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের ভোট দেবেন। নৌকায় ভোট দেবেন।

জয় বলেন, স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের সৃষ্টি করা দল ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারা যুদ্ধ অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ফিরিয়ে এনেছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ চালিয়েছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশের জন্য কোনো দিন কিছু করেনি। দেশের জন্য আপনারা কাজ করছেন, আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।

বিজয়ী ১২ তরুণদের সংগঠন হলো- উইমেনস ড্রিমার ক্রিকেট অ্যাকাডেমি, স্বপ্ন : এক চিলতে হাসির জন্য, ঋতু হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন, এফএপিএ বাংলাদেশ, ক্লিয়ার কনসেপ্ট, টিম অ্যাটলাস, নুপম ফাউন্ডেশন, আলট্রাস্টিক পিউপিলস ইয়ুথ অর্গানাইজেশন (এপিওয়াইও), ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ (ডব্লিউএসআরটিবিডি), ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবাল, অভিনন্দন ফাউন্ডেশন, টঙ্গের গান। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার পাওয়া সংগঠনগুলো ছাড়াও ৩০০টির বেশি সংগঠন নিয়ে ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।

এই সংগঠনগুলোসহ ইয়াং বাংলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক ও ৩ লাখের বেশি সদস্য। ২০২২ সালের মে মাসে ইয়াং বাংলার সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইয়াং বাংলা ২০১৫ সাল থেকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে আসছে। এর আগের ছয় আসরে তরুণদের নেতৃত্বাধীন ১৪৫ সংগঠনকে এই অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়েছে।

সোনালী/জেআর