ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ - ১০:৩৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম

তানোরে প্রকল্পে শ্রমিক উপস্থিতি কমে ইউএনও’র অসন্তোষ

  • আপডেট: Monday, November 13, 2023 - 10:15 pm

তানোর প্রতিনিধি: তানোরে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির (ইজিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে শ্রমিক উপস্থিতি কম থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি বাঁধাইড় ইউনিয়নের একান্নপুর সাদিকুলের বাড়ি হতে হরিশপুর ফিরোজের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন ইউএনও। এই প্রকল্পে ২১ জন শ্রমিকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১১ জন। প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য সচিন্দ্রনাথ মাহাতো।

তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের দেয়া শ্রমিকরা কাজে আসে না ওরা ভিআইপি শ্রমিক। তিনি যাদের নাম দিয়েছেন সবাই এসেছেন। এছাড়াও বাঁধইড় মিশনপাড়া পাকা রাস্তা হতে বাঁধাইড় প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজে ২৭ জন শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ১৬ জন উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প সভাপতি ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য (মেম্বার) আক্তারা বেগম। তিনি জানান চেয়ারম্যানের এবং মেম্বারের দেয়া ভিআইপি শ্রমিকেরা অনুপস্থিত আছে তারা কাজ করেন না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউপিতে ১৬টি প্রকল্পে ৪৪৬জন শ্রমিক চলতি অর্থবছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।

গত শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন তালন্দ ইউনিয়নের লালপুর সাবেরের বাড়ি থেকে চাত্রাপুকুর পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার কাজ উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এটিএম কাউসার আলী, ইউপি চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু ও প্রকল্প সভাপতি সংরক্ষিত নারী সদস্য খালেদা বেগম।

এই প্রকল্পেও ৪৩ জন শ্রমিকের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৪ জন। সেখান থেকে ইউএনও যান পাঁচন্দর ইউপির কোয়েল গোয়াল পুকুর জব্বারের মটরের ঘর হতে নোনা ডাঙ্গা হয়ে মাসনা কুড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার কাজ।

এই প্রকল্পেও ২৬ জন শ্রমিক থাকার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিল মাত্র ১৫ জন। প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য মফিজ উদ্দিন, তিনি জানান উদ্বোধনের দিন এজন্য সব শ্রমিক আসেনি।

তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এটিএম কাউসারী আলী বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে যে পরিমাণ শ্রমিক আছে সবাইকে উপস্থিত থেকে কাজ করতে হবে। যারা অনুপস্থিত থাকবেন তাদেরকে টাকা দেয়া হবে না।

এদিকে প্রতিটি কাজ পরিদর্শনে অসন্তোষ প্রকাশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, একজন শ্রমিক অনুপস্থিত থাকলে প্রকল্প সভাপতিকে জবাব দিতে হবে। কোন ভাবেই অনুপস্থিত থেকে টাকা পাওয়া যাবে না।

এবং রাস্তার মাটি দিয়ে রাস্তা সংস্কারও করা যাবে না। জমি থেকে মাটি নিয়ে রাস্তা সংস্কার করতে হবে। কেউ যদি মনে করে কাজে না এসে টাকা পাবে এটা হবে না। অতীতে কি হয়েছে সেটা দেখার বিষয় না। বর্তমানে শতভাগ কাজ বুঝিয়ে নেয়া হবে।

সোনালী/জেআর