ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ৮:২৩ অপরাহ্ন

রাজশাহীকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে কড়া জবাবের হুশিয়ারি

  • আপডেট: Saturday, October 28, 2023 - 10:00 pm

শহিদ রাসেল দিবস

স্টাফ রিপোর্টার: কর্মসূচির নামে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের মিত্ররা যদি শান্তিপ্রিয় রাজশাহীকে অস্থিতিশীল করতে চায়; তবে কড়া জবাব দেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন মহানগর যুবমৈত্রীর নেতারা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর সাহেব-বাজার জিরোপয়েন্টস্থ দলীয় কার্যালয়ে শহিদ রাসেল আহমেদ খান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তারা এই হুশিয়ারি দেন।

মৌলবাদীরা ‘সক্রিয় হচ্ছে’ মন্তব্য করে সভায় বক্তারা বলেন, আমরা রাজনীতি করি জনগণের কল্যাণে; তাদের সেবার জন্য। মহামারীতে আমরা রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। সেদিন এই বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতীরা কোথাই ছিল?। তারা ওইদিন ঘরের মধ্যে পর্দার আড়ালে লুকিয়ে ছিল। মানুষ যখন বিপদে ছিল, তখন তাদের পাওয়া যায়নি। আজ মানুষ যখন ভালো আছে, তখন তারা এই ‘ভালো’কে খারাপ করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমরা বলতে চাই, রাজশাহী হচ্ছে শান্তির নগরী। তারা যদি এই শান্তির শহরকে অশান্ত করতে চায়; তবে যুবমৈত্রী তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

জামায়াত-বিএনপির রাজনীতি ‘জনকল্যাণমূলক’ নয় মন্তব্য করে বক্তারা আরও বলেন, গত ১৫ বছরে রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহীবাসীকে শিক্ষানগরী উপহার দিয়েছেন। আর এর বিগত দিনে বছরের পর বছর ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি-জামায়াত রাজশাহীর মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। তাদের না পারার কারণ হচ্ছে, তাদের রাজনীতি এবং আদর্শ ‘জনকল্যাণমূলক’ নয়। তারা নিজেদের এজেন্ডা ব্যতিত অন্য সাধারণ মানুষের এজেন্ডা নিয়ে কখনো ভাবে না। তাই আমরা রাজশাহীর মানুষের কাছে আহ্বান রাখতে চাই, আগামীতে নির্বাচন। এই নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হাতকে শক্তিশালী করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।

জামায়াত-বিএনপির গুলিতে নিহত যুবমৈত্রীর তৎকালীন নেতা শহিদ রাসেল আহমেদ খানের অবদানকে স্মরণ করে বক্তারা বলেন, আদর্শিক রাসেলরা সেদিন জীবন দিয়েছিল বলেই আজকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর দুর্বার আন্দোলনে সেদিন রাসেল আহমেদের মতো আদর্শিক সৈনিকরা না থাকলে আজকে বাংলাদেশ এই জায়গায় পৌঁছাতো না। সুতরাং রাসেলদের আত্মত্যাগ ভুলে গেলে চলবে না। রাসেলের দেখানো পথেই আমাদের সামনে দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর যুবমৈত্রীর সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি। বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, মহানগর সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য নাজমুল করিম অপু, যুবমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কামরুল হাসান সুমন, মহানগর যুবমৈত্রীর সহ-সভাপতি ও ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি রায়হান হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাইমিনুল হক রানা প্রমুখ। সভাটি পরিচালনা করেন যুবমৈত্রীর রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমতিয়াজ।

সোনালী/জগদীশ রবিদাস