ঢাকা | মে ১২, ২০২৫ - ১১:৪১ অপরাহ্ন

রানীনগরে ২০ দিন পানির নিচে ১১ হাজার বিঘার ফসল

  • আপডেট: Sunday, October 22, 2023 - 12:06 am

অনলাইন ডেস্ক: আত্রাইয়ে নদীর পানি কমলেও ডুবে আছে ধান ও বিভিন্ন ধরনের সবজির ক্ষেত। ২০ দিন ধরে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

এ ছাড়া প্রায় ৩৫০ বিঘা জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে ৫২টি পুকুরের মাছ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরকারি সহায়তা চেয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের শেষের দিকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আত্রাই নদীর পানি বাড়তে শুরু করে।

একপর্যায়ে পানির চাপে গত ২৭ সেপ্টেম্বর আত্রাই-বান্দাইখাড়া সড়কের নন্দনালী এবং আত্রাই-সিংড়া বেড়িবাঁধ কাম সড়কের জগদাস ও অদূরে শিকারপুরে ভেঙে যায়।

পরের দিন কাশিয়াবাড়ী বলরম চক-ইসলামগাথী বেড়িবাঁধ ও সড়ক ভেঙে যায়। এতে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তথ্যমতে, সে সময় প্রায় ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বাঁধ ভেঙে ১০-১২টি বাড়ি বিলীন হয়ে যায়।

এ ছাড়া ৫২টি পুকুরের প্রায় ৮০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেবনাথ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অভিজিত চন্দ্র কুন্ডু জানান, বন্যায় উপজেলার প্রায় ১১ হাজার ৪৭৫ বিঘা জমির ধান এবং ৩৩৭ বিঘা জমির সবজি পানিতে ডুবে গেছে। বন্যার পানি মাঠে এখনও স্থির অবস্থায় থাকায় মনিয়ারী, কচুয়া, বাহাদুরপুর, বাঁশবাড়িয়া, ফটকিয়া, পালশা, নৈদীঘি, পতিসর, মাঝগ্রাম, বড়সাওয়তা, পৈসাওতা, দমদত্তবাড়িয়াসহ অনেক এলাকার মাঠের ধান ডুবে আছে।

এ কর্মকর্তার ভাষ্য, পানি দ্রুত নেমে গেলে ধান ভালো থাকার আশা করা যেত। ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। পালশা গ্রামের কৃষক ময়নুল ইসলাম বলেন, তিনি প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছিলেন। বন্যায় পানিতে ডুবে ধানের গাছ পচে গেছে।

সাড়ে ১০ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছিলেন মনিয়ারী গ্রামের সাইফুল ইসলাম টুটুল। পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। কচুয়া গ্রামের কৃষক শামিম মাহমুদ দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় সব পচে নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার রয় বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের সহায়তার জন্য আবেদন করা হবে।

সোনালী/জেআর

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS