রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিনতাই: দুই শিক্ষার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে একটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠেছে।
বুধবার এ ঘটনায় প্রক্টর দপ্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
তবে তা অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী, অভিযুক্ত উর্দু বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।
জুয়েল বলেন, গতরাতে স্টেডিয়ামের সামনে দিয়ে হেঁটে হলে ফিরছিলাম। তখন সেখানে বসা কয়েজন ছেলে আমাকে ডাকে এবং পরিচয় জিজ্ঞেস করে। তারপর আমার ফোন তাদের দিতে বলে।
কিন্তু আমি ফোন কেন দেব জিজ্ঞেস করলে উভয়ের মধ্যে তর্ক বাধে এবং তারা আমাকে ছুড়ি ধরে মারধর করে। আমি পড়ে গেলে মাথায় আঘাত পাই।
তখন তারা ফোন ও প্রায় দেড় হাজার টাকা ছিনতাই করে চলে যায়। এ ঘটনায় আমি মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি।
অভিযোগপত্রে ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী তাসনিম আলম শান্ত সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে অভিযুক্ত করেন জুয়েল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেন তাসনিম আলম শান্ত। পাল্টা অভিযোগ তুলে তিনি জানান, সেই রাতে আমি হলে ফিরছিলাম। তখন দেখি কয়েকজনের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে। এগিয়ে গেলে জুয়েল হোসেনকে দেখে উভয়পক্ষকে থামানো চেষ্টা করি।
কারণ জুয়েল আমার হলের বড় ভাই, অন্যদের চিনি না। তিনি সেখানে কোন মেয়ের সঙ্গে ছিলেন এবং সেটা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে বলে জানতে পারি। কিন্তু ছিনতাইয়ের কোন ঘটনা আমি জানি না। এ বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট নই।
এ বিষয়ে জুয়েল জানান, ঘটনার সময় কোন মেয়ে তার সঙ্গে ছিল না। বরং তার এক নারী বন্ধুকে হলে রেখে নিজের হলে ফিরছিলেন তিনি।
এদিকে, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছিনতাই ও মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্যাম্পাসের ভেতরে এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এমন ঘটনাই প্রমাণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতটা ভঙ্গুর।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি। অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোনালী/জেআর