ঢাকা | মে ৩, ২০২৫ - ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

চলনবিলে ধরা পড়ছে প্রচুর দেশি মাছ

  • আপডেট: Monday, October 9, 2023 - 6:00 pm

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি: চলনবিলে জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে পুঁটি, টেংরা, বাতাসি, রায়েক, চেলা, মোয়া, চাটা খইলসা, বাড়ি খইলসা, বাইলা, গুচি, টাকি, কই, শিঙ, মাগুড়, বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেলসহ হরেক রকম দেশীয় মাছ।

এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে, চাহিদার তুলনায় মাছের সরবরাহ বেশি থাকায় সব ধরনের মাছ অর্ধেকেরও কম দামে বেচাকেনা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, চলনবিল দেশের মিঠা পানির সবচেয়ে বড় জলাভূমি। যমুনা নদীর বাঘাবাড়ির হুরাসাগর হয়ে বড়াল ও গুমানি নদীপথে বন্যার শুরুতে বিলে দেশীয় প্রজাতির মা মাছ প্রবেশ করে প্রজনন শুরু করে।

এ বছর দুই মাসের মতো বন্যার পানি থাকায় ও স্থানীয় প্রশাসনের কঠর নজরদারির কারণে মৎস্য শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায় মা মাছ ও পোনা। ফলে বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে দেখা মিলছে প্রচুর দেশীয় মাছের।

সরেজমিনে বিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খড়াজাল, মইয়াজাল, ধর্মজাল, ঝাঁকি জাল, বাদাই জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন জেলে ও মাছ শিকারিরা। তারা মাছও পাচ্ছেন প্রচুর। সোমবার সকালে ভাঙ্গুড়া শহরের মাছ বাজারে প্রতিকেজি পুঁটি ও চাটা খইলসা ৫০ টাকা, বোয়াল, কই, জিয়াল, ট্যাংরা, গুচি ৩০০-৪০০ টাকা, আর রুই, কাতলা, মৃগেলের দাম ওজন ভেদে ৩০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মৎস্যজীবীরা বলেন, চলনবিলের মূল অংশে এখনো বেশ পানি রয়ে গেছে। তবে উঁচু অঞ্চলে কোথাও কোমর পানি আবার কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি। কম পানিতে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে। তারা আরো বলেন, খড়া জালে প্রতি ৩-৫ মিনিট পর ২-৩ কেজি ছোট-বড় মাছ উঠে আসছে।

আর কারেন্ট জালে ছোট মাছ পরিমাণে বেশি আটকা পড়ায় জাল বাড়িতে এনে স্ত্রী সন্তান নিয়ে মাছ ছাড়াতে হচ্ছে। অষ্টমনিষা মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতারা জানান, জেলেরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাজারে মাছ নিয়ে আসেন। তাদের ধারণা, মাছের দাম আরো কমে যাবে।

এ প্রসঙ্গে ভাঙ্গুড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, স্থানীয় প্রশাসন যথাযথ ভূমিকা রাখায় ও মৎস্যজীবীরা প্রচলিত মৎস্য আইন মেনে চলার কারণে চলনবিলে প্রচুর মাছ পাওয়া যাচ্ছে।

সোনালী/জেআর

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS