ঢাকা | মে ৫, ২০২৪ - ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

তানোরে আমনে বুগাপড়া রোগ, দিশেহারা কৃষক

  • আপডেট: Wednesday, October 4, 2023 - 9:00 pm

সাইদ সাজু, তানোর থেকে: তানোরে রোপা আমনের জমিতে বুগাপড়া রোগে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ধান গাছের পাতা হলুদ রং হয়ে পড়েছে। শুধু হলুদ কালার না, যেখানে এই রোগ ধরেছে সেখানকার ধান গাছ নেই বললেই চলে।

এ রোগ থেকে ধান গাছের পাতাকে রক্ষা করতে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেও দূর করতে পারেননি কৃষকরা। যে জমিতে এর আক্রমণ সেই জমিতে অর্ধেক ফলনও হবে না।

অপর দিকে রোগ দূর করতে কৃষি অফিস থেকে সঠিক পরামর্শ পাচ্ছেন না কৃষকরা। এ কারণে রোগ দূর হয়নি, আস্তে আস্তে পুরো জমির ধান পুড়ে যাওয়ার মত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষি অফিসের উদাসিনতার কারনে রোগ দূর করতে পারছেন না বলে জানান কৃষকরা। পৌর এলাকার সিন্দুকাই গ্রামের কৃষক তাইনুস বলেন, আমি ৮বিঘা জমিতে রোপা আমন লাগিয়েছি।

প্রায় জমিতে এ রোগের প্রভাব পড়লেও তার মধ্যে এক বিঘা জমিতে এ রোগ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। পচন ও কারেন্ট পোকার বিষ দিয়েও দূর হয়নি। এখন পর্যন্ত কৃষি অফিসের লোকজনের কোন দেখাও পাওয়া যায়নি। এ কারণে রোগও দূর হয়নি এবং এক বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে প্রকার ভেদে ১২/১৪ হাজার টাকা।

পৌর এলাকার গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক সাহেব আলী বলেন, প্রায় জমিতে এ রোগের প্রভাব দেখা দিয়েছে। আমার ১০ কাঠা জমিতে এ রোগ হয়েছে, প্রথম দিকে মনে হয়েছিল কারেন্ট পোকা কিংবা পচন রোগের কারণে ধান গাছের পাতা হলুদ হয়ে পড়েছে। শুধু আমার না বড় ভাই মোস্তফার দেড় বিঘা জমিতে এ রোগ, তসলিমের এক বিঘা, কাবিলের ১৫ কাঠা জমিতে।

এ ধরনের রোগ আগে কখনো দেখা যায়নি। এ কারণে কারেন্ট পোকা ও পচনের বিষ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রোগ দূর হওয়ার বিপরীতে দিনের দিন ধান গাছের পাতা পুড়ে বসে গেছে, ফলন হবে না।

আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রচণ্ড খরতাপের কারণে এ রোগের সৃষ্টি। এটা সাতরা পোকার আক্রমণের কারণে পাতা হলুদ হয়ে বসে গেছে। জমির যেখানে এ রোগের আক্রমণ হয়েছে সেখানে ফলন হবে না। বিশেষ করে উঁচু জমিতে এ রোগের আক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এ রোগের আক্রমণ দেখার সাথে সাথে সেখানকার ধান গাছ তুলে ফেলে নতুন ধানগাছ রোপণ করতে হত। তাহলে ফলন পেত।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, জিংক এর জন্য এ ধরনের রোগ হতে পারে। তবে জমিতে না গিয়ে বলা যাবে না। এবারে উপজেলায় ২১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষাবাদ হয়েছে।

সোনালী/জেআর