বগুড়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা
বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মা জাহেরা বেওয়াকে (৮২) হত্যা করেছে ছেলে হেলাল উদ্দিন। গ্রেপ্তারের পর তিনি এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব। সোমবার বিকালে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন এই তথ্য জানান।
এর আগে রোববার বিকালে র্যাব সদস্যরা ঢাকার মনিকগঞ্জে অভিযান চালিয়ে হেলালকে গ্রেপ্তার করে। নিহত জাহেরা বেওয়া বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার গাড়মাড়া গ্রামের মৃত কাশেম শেখের স্ত্রী। গত ২৬ আগস্ট জাহেরা বেওয়াকে নিজ ঘরে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে কামাল শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সোনাতলা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে আরেক ছেলে হেলালের স্ত্রী সকিনা বেগমকে (৪১) গ্রেপ্তার করে। পুলিশের রিমান্ডে সকিনা স্বামীর যোগসাজশে শাশুড়িকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরপর থেকে হেলালকে গ্রেপ্তারে মাঠে নামে র্যাব।
র্যাব জানায়, কয়েক বছর ধরে গাড়মাড়া গ্রামে ৪৫ শতক জমি নিয়ে ইউপি সদস্য টুকু মিয়া ও তার ভাতিজা স্কুল শিক্ষক জুলফিকার আলীর সঙ্গে হেলালের বিরোধ চলে আসছিল। কোনোভাবেই সম্পত্তির দখল নিতে না পেরে টুকু ও জুলফিকারকে ফাঁসাতে নিজের মাকে হত্যার পরিকল্পনা করে হেলাল।
এর জেরে গত ২৬ আগস্ট দিবাগত রাতে জাহেরা বেওয়াকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে হেলাল ও সকিনা পুলিশের তদন্তে নানাভাবে টুকু ও জুলফিকারকে জড়ানোর চেষ্টাও করে। তবে সকিনার আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বলেন, নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে হেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। সন্ধ্যার দিকে তাকে সোনাতলা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
সোনালী/জেআর