ছেলের দুর্নীতির অভিযোগে বিপাকে বাইডেন
অনলাইন ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে সাড়ে ১৩ লাখ মার্কিন ডলার আয়ের ওপর কর দেননি তিনি।
এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগও রয়েছে হান্টারের বিরুদ্ধে। রিপাবলিকানরা বাইডেনের ছেলের ব্যবসায়িক লেনদেনের বিষয়ে নজর দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাঁর ছেলের ব্যবসায়িক লেনদেন থেকে উপকৃত হয়েছিলেন কি না- সেটিকে ঘিরেই তদন্ত শুরু করেছে রিপাবলিকানরা।
এদিকে দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর উদ্যোগ গ্রহণের পর তিনি বলেছেন, ‘সরকারকে অচল করতে অভিশংসনের মাধ্যমে আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাইছে রিপাবলিকানরা।’ এর কয়েক ঘণ্টা আগে তদন্ত শুরুর নিন্দা জানায় হোয়াইট হাউস। সূত্র : রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, বাইডেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধী রিপাবলিকানরা।
এ অবস্থায় বুধবার বাইডেন ভার্জিনিয়ার একটি তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না কেন? তবে কেবল তারাই জানে কেন তারা আমাকে অভিশংসন করতে চায়? আমি সবচেয়ে ভালো যা বলতে পারি তা হলো- তারা আমাকে অভিশংসন করতে চায়। কারণ তারা সরকারকে অচল করতে চায়।’ বাইডেন বলেছেন, তিনি অভিশংসন তদন্তের বিষয়ে মনোনিবেশ করতে চান না। তাঁর ভাষায়, ‘আমি প্রতিদিন উঠি এবং অভিশংসনের দিকে মনোনিবেশ করি না। আমার কাজ আছে, দায়িত্ব আছে।’
প্রসঙ্গত, মার্জোরি টেলর গ্রিন মূলত অতি কট্টর ডানপন্থি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর মিত্র হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে ওয়াশিংটনের শীর্ষ রিপাবলিকান প্রতিনিধি এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থিকে অভিশংসন তদন্তের আদেশ দিতে চাপ দেওয়ার জন্য টেলর গ্রিনকে দায়ী করেছে হোয়াইট হাউস।
এ ছাড়া হোয়াইট হাউস বাইডেনেরে ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে মামলায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে। এমনকি হান্টারের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সঙ্গে বাইডেনের কোনো ধরনের যোগসূত্র নেই বলেও উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে এ তদন্তকে একটি ‘রাজনৈতিক স্ট্যান্ট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি বলেছেন, রিপাবলিকানরা হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক লেনদেনের তদন্ত করেছে, তারপরও তারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
সোনালী/জেআর