ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪ - ১২:৫২ পূর্বাহ্ন

চালু হচ্ছে সি প্লেন, সারা বছর যাওয়া যাবে সেন্টমার্টিন

  • আপডেট: Friday, September 15, 2023 - 5:00 pm

অনলাইন ডেস্ক: সেন্টমার্টিন দ্বীপে সি প্লেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকরা সারা বছর যেতে পারবেন প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে। তবে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সীমিত পর্যটক সেখানে ভ্রমণ করতে পারবেন। এ জন্য সব পর্যটকদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অফ ক্যাপস্টোন কোর্সের ফেলোদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার এ কথা জানান।

তিনি বলেন, প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন পর্যটকরা। এতে এক সঙ্গে বিপুল পর্যটক ভ্রমণে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। ফলে প্রতিদিন অল্প সংখ্যক পর্যটক যাতে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য সি-প্লেন দরকার। তাই দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার।

কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে এই জেলায় অভাবনীয় উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। চলমান উন্নয়ন ছাড়াও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কক্সবাজারকে সর্বোচ্চ সুন্দর ও ট্যুরিজম জোন হিসেবে গড়ে তুলতে মাস্টারপ্ল্যানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে কক্সবাজার টু মহেশখালী এবং কক্সবাজার টু টেকনাফ ক্যাবল কার স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে বিশাল আন্ডার সি অ্যাকুরিয়াম, সার্কুলার বাস টার্মিনাল, মেরিনা বে রিসোর্ট, খুরুশকুল স্মার্ট সিটি, থিম পার্ক, ইকো রিসোর্ট, চৌলদণ্ডীতে রিভাররেইন ট্যুরিজম করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই উন্নয়নগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

জেলার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দেশের সবচেয়ে বড় মহাপরিকল্পনা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কউক কর্তৃক যে মাস্টারপ্ল্যান নিয়েছে তা একে একে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেককিছুর পরিবর্তন হয়েছে এবং মেগা প্রকল্পসহ অনেক প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে হাতে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করে একটি উন্নত মডেল কক্সবাজার উপহার দেওয়া হবে।

কমোডর নুরল আবছার বলেন, কক্সবাজারে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বাঁকখালী নদীকে ১৫০ ফিট প্রশস্থকরণ এবং ইন্টারন্যাশনাল কনভিয়েন্স সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কউক। বিদেশি পর্যটকরা যেন কক্সবাজারে এসে মুদ্রা বিনিময় করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করে যাচ্ছে।

এ সময় কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফেলোদের সামনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভিশন উপস্থাপন করেন। এতে তিনি প্রমোশন ট্যুরিজম, ব্লু ইকোনমির সম্পদ ব্যবহার করা, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজন ওপর ফোকাস, বঙ্গোপসাগরে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কাজে লাগানো, রোহিঙ্গা সংকট এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের দিকে নজর রাখার বিষয় উল্লেখ করেন।

মতবিনিময় সভায় ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অফ ক্যাপস্টোন কোর্স-২০২৩/২ এ ফেলোদের মধ্যে সংসদ সদস্য, বিচারক, অতিরিক্ত সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালী/জেআর