যে কারণে বিজেপি ছাড়লেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নাতি
অনলাইন ডেস্ক: নেতাজীর অন্তর্ধান রহস্য উদঘাটনের কথা দিয়ে কথা রাখেনি বিজেপি! তাই বিজেপি ত্যাগ করলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাতি চন্দ্র বসু।
বুধবার চন্দ্র বসু জানান, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে দলত্যাগের বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বসু পরিবারের এই সদস্যের অভিযোগ, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং শরৎচন্দ্র বসুর আদর্শ প্রচার করতে দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে সেরকম কিছুই হয়নি।
অন্যদিকে বিজেপির দাবি, চন্দ্র বসুর দলত্যাগে বঙ্গ বিজেপিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। দলে যোগদানের শুরু থেকেই তিনি নিস্ক্রিয়।
২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাতি চন্দ্র বসু। দলে যোগদানের পরই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি নিযুক্ত করা হয় তাঁকে।
ওই বছর বিধানসভা নির্বাচনে এবং পরে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। যদিও ২০২০ সালে সাংগঠনিক রদবদলের জেলে সহ-সভাপতি পদ থেকে চন্দ্রবসুকে অব্যাহতি দেওয়া হলে ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন তিনি।
বুধবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎ করে তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং শরৎচন্দ্র বসুর আদর্শ প্রচার করতে দেওয়া হবে।
ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকল জনগোষ্ঠীকে ভারতীয় হিসেবে একত্রিত করার জন্য বিজেপিতে আজাদ হিন্দ মোর্চা গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে নেতৃত্বের তরফে কোনো সাড়া মেলেনি। তাই বিজেপিতে থাকা অর্থহীন। নাড্ডাকে চিঠি দিয়ে দলত্যাগের কথা জানিয়েও দিয়েছি।’
সোনালী/জেআর