ঢাকা | মে ১৯, ২০২৪ - ৪:৫৭ পূর্বাহ্ন

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু ॥ এমপি বাদশার শোক

  • আপডেট: Sunday, August 27, 2023 - 9:15 pm

স্টাফ রিপোর্টার: চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী। রোববার সকাল পৌনে ৭ টায় নগরীর ফিরোজাবাদস্থ নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি—রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। তিনি ৪ ভাই ১ বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহি রেখে গেছেন। তিনি অনেক দিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন।

রোববার বাদ আসর নগরীর ফিরোজাবাদ হাজি কসিমউদ্দিন ঈদগাহ মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজের পূর্বে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কল্যাণ চৌধুরীর নেতৃত্বে মহানগর পুলিশের একটি দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। রোববার দুপুরে এক শোক বার্তায় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এদিকে, গার্ড অব অনার প্রদান শেষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ-এর পক্ষে মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, জেলা ও মহানগর জাসদের পক্ষে মজিবুল হক বকু, আব্দুল্লা আল মাসুদ শিবলী, আমিরুল ইসলাম বাবু ও যুবজোট আলাদা আলাদা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ব্ক্তব্য রাখেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইটএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, কবি কুঞ্জের সভাপতি প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামানিক।

জানাজা শেষে সপুরা অপদা (পানি উন্নয়ন বোর্ড) সংলগ্ন কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়। মোহাম্মদ আলী একজন প্রতিবাদী মানুষ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকারীন সময় ভারতের জাফলং-এ বিএলএফ-এর উচ্চপ্রশিক্ষণ নিয়ে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং একজন ভাল ফুটবলার ছিলেন। তিনি মনে করতেন দেশ স্বাধীন হলেও মুক্তি আসেনি। তাই তিনি জাসদে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি জাসদের দাদা ভাই বলে পরিচিত সিরাজুল আলম খান-এর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

এছাড়াও জানাজায় উপস্থিত ছিলেন কবি কুঞ্জের সভাপতি প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামানিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জাসদ নেতা প্রদীপ মৃধা, সাবেক ছাত্র নেতা শরিফুল ইসলাম শরিফ, প্রবীণ হিতৈষি সংঘের সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান বেল্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: আব্দুল মান্নান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা মঞ্জুর মুরশেদ চুন্না, আরিফুল হক কুমার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসুল বাবলু. বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনু প্রমুখ।

সোনালী/জেআর