বাফুফের নিলামে সবচেয়ে দামী যে ফুটবলার
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে যোগ হলো আরও একটি অধ্যায়। এই প্রথম নিলামে তোলা হলো ফুটবলারদের। ক্লাবগুলোর টানাটানিতে এলিট একাডেমির ফুটবলারদের নিলামে ওঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে।
গতকাল বাফুফের এলিট অ্যাকাডেমির ফুটবলারদের প্রিমিয়ার লিগে বন্টনের জন্য নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিলাম আয়োজিত হয়। বাফুফের ঐতিহাসিক এই দিনে এলিট একাডেমির ১০ ফুটবলারকে কিনেছে দেশের ক্লাবগুলো।
এবারের নিলামে সর্বোচ্চ খেলোয়াড় দলে নিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তারা ৬ জন ফুটবলারকে দলে ভিড়িয়েছে। এছাড়া একজন করে খেলোয়াড় কিনেছে বসুন্ধরা কিংস, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, আবাহনী এবং ফর্টিস এফসি। তবে নিলামে কোনো খেলোয়াড় কিনতে পারেনি পুলিশ এফসি ও ঢাকা মোহামেডান।
নিলামে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ছিল চন্দন রায়ের নাম। এ ক্যাটাগড়ির খেলোয়াড় তিনি। তার ভিত্তিমূল্য ছিল ৫ লাখ। তাকে দর হাঁকিয়ে নয় লাখে দলে নেয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
নিলামে সর্বোচ্চ ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছেন ৫ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের একাডেমির গোলকিপার মোহাম্মদ আসিফ। তাকে পেতে বিডে অংশ নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী, ব্রাদার্স। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস।
দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে নাম আসে মো. রুবেল শেখের। তবে প্রথম ডাকে অবিক্রিত থেকে যান তিনি। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা এই ফুটবলারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৪ লাখ। প্রথম ডাকে অবিক্রিত থাকলেও, নিলাম শেষে দ্বিতীয় ধাপে আবারও উঠানো হয় তাকে। দ্বিতীয় ধাপে তাকে ভিত্তিমূল্য ৪ লাখেই দলে নেয় ব্রাদার্স।
এছাড়া ফরোয়ার্ড আসাদুল মোল্লাকে ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় দলে নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। সেন্টারব্যাক ইমরান খানকে ভিত্তিমূল্য ৪ লাখ টাকায় দলে নিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় সাজেদ হাসান জুম্মনকে দলে নেয় ফর্টিস এফসি। ৪ লাখ করে শ্রী সুমন সোরেন, সিরাজুল ইসলাম রানাকে দলে নেয় ব্রাদার্স।
আজকের নিলামের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন মিরাজুল ইসলাম। ইতোমধ্যেই ইউরোপের ক্লাবে খেলার ডাক পেয়েছেন তিনি। ফলে তার সঙ্গে চুক্তি করলে লম্বা সময় তাকে দলে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তারপরও ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় তাকে দলে নিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
কোন ফুটবলার কত টাকায় কোন ক্লাবে খেলবেন.
১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা: গোলরক্ষক মো. আসিফ, বুসন্ধরা কিংস
১০ লাখ টাকা: সেন্টারব্যাক আজিজুল হক অনন্ত, ব্রাদার্স ইউনিয়ন
৯ লাখ টাকা: মিডফিল্ডার চন্দন রায়, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র
৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা: ফরোয়ার্ড আসাদুল মোল্লা, আবাহনী লিমিটেড
৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা: সাজেদ হাসান জুম্মন, ফর্টিস এফসি
৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা: ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলাম, ব্রাদার্স ইউনিয়ন
৪ লাখ টাকা: ফরোয়ার্ড সুমন সরেন, ব্রাদার্স ইউনিয়ন
৪ লাখ টাকা: লেফটব্যাক সিরাজুল ইসলাম রানা, ব্রাদার্স ইউনিয়ন
৪ লাখ টাকা: রাইটব্যাক রুবেল শেখ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন
৪ লাখ টাকা: সেন্টারব্যাক ইমরান খান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
সোনালী/জেআর