বিএনপি চিৎপটাং, আর উঠতে পারছে না: তথ্যমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি নিজেই চিৎপটাং হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে টেনেহিঁচড়ে নামানোর জন্য কয়েক দিন আগে সমাবেশ দিয়েছিল। সমাবেশে কিছু মানুষ দেখে তারা মনে করল আন্দোলনের বেলুন বুঝি খুব ফুলে গেছে।
পরের দিন ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবরোধের ডাক দিল। বেলুন যেটা ফুটেছিল, সেটা ঠুস করে ফুটে গেল। তারপর যে চিৎপটাং হয়ে পড়েছে, আর উঠতে পারছে না। আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে গিয়ে চিৎপটাং হয়ে গেছে, মাজা যে ভেঙে গেছে, আর উঠতে পারছে না।’
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার আড়ানী মনমোহিনী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পত্রপত্রিকার খবরে বিএনপির মুখ মলিন হয়ে গেছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে হতাশার সুর। তাঁরা বিদেশিদের কাছে অনেক দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন। কিন্তু দেখা গেল, কয়েকটি পত্রপত্রিকায় যখন একটি খবর এল, দেখলাম চেহারাগুলো সব মলিন হয়ে গেল। এখন আর ঘন ঘন বিদেশিদের কাছে যান না। গিয়ে দেখলেন, কোনো লাভ হয় না। বিদেশিরা তাঁদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থন করেনি। বিদেশিরা চায়, দেশে একটি সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন হোক। আমরাও চাই। সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচনের গ্যারান্টি দিচ্ছি।’
বিএনপির আজকের কালো পতাকা মিছিলের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে দেখলাম কালো পতাকা মিছিল। বিএনপিকে ইতিমধ্যে জনগণ লাল পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে। তাই জনগণকে তারা কালো পতাকা দেখাতে চায়। তাদের কালো পতাকা দেখিয়ে লাভ নেই। আপনারা সাম্প্রদায়িকভাবে দেশকে বিভক্ত করবেন, জঙ্গি ধরলে তাঁদের পক্ষ নেবেন, আর কথায় কথায় ভারতকে গালাগাল করবেন। আর আমরা ভারতের দালাল বলে আমাদের গালাগাল করবেন। তাহলে বিদেশিরা আপনাদের কী কারণে সমর্থন করবেন? দেশের মানুষ কী কারণে সমর্থন করবেন? তাঁদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে!’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না। ছেঁড়া কাপড় পরা কাউকে দেখলে মানুষ তাঁর পা থেকে মাথা পর্যন্ত তাকায়, ওর হেডকোয়ার্টার ঠিক আছে কি না! খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। মানুষ এক কিলোমিটার, আধা কিলোমিটার বাজারে যাওয়ার জন্য হাঁটে না। আমার এলাকায় আমরা ক্ষমতায় আসার আগপর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। আজকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। আজকে গ্রামে হাঁটতে গিয়ে কুঁড়েঘর পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও সেখানে মুরগি পালন করা হয় কিংবা পাকঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখন মানুষ কমপক্ষে টিনের চালার ঘরে থাকে। কুঁড়েঘর এখন কবিতায় আছে। এটি কোনো জাদুর কারণে হয়নি। এটি প্রধানমন্ত্রীর জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে হয়েছে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা প্রমুখ। দিনভর বৃষ্টির এ শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার প্রমুখ।
সোনালী/জেআর