ডেঙ্গু || হাসপাতালে ভর্তি লাখ ছাড়াল
অনলাইন ডেস্ক: দেশে প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে এক লাখ ছাড়িয়েছে হাসপাতালে ভর্তি।
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের ইতিহাসে এ বছর সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যেই মারা গেছেন ৪৮৫ জন। ঢাকা থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গতকাল সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৯৭ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৭২ জন এবং ঢাকার বাইরের বাসিন্দা ১ হাজার ৩২৫ জন। গতকাল মারা গেছেন ৯ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬ জন এবং বাইরের ৩ জন।
বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭ হাজার ৬৮৬ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৯৪ হাজার ২০ জন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২ হাজার ১৯১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৪৯ হাজার ৩২৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫২ হাজার ৮৬৩ জন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৬০৭ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। ঢাকায় ৪৫ হাজার ৩৫৮ এবং ঢাকার বাইরে ৪৮ হাজার ৬৬২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আগস্টে ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু। চলতি মাসের ২১ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৩৫৯ জন। মারা গিয়েছেন ২৩৪ জন। এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেশি হওয়ায় শঙ্কা বাড়ছে জনমনে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ট্রান্সফিউশন মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আশরাফুল হক জানান, ‘আমরা সাধারণত জ্বর না হলে পরীক্ষা করাতে চাই না। তাই ডেঙ্গু হলেও বুঝতে পারি না। ডেঙ্গু হয়েছে কি না তা দেখার জন্য আমরা যে পরীক্ষা করি তার মাঝে অন্যতম হলো এনএস১, যা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় হয়।
লক্ষণ আসার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ পরীক্ষা করা হলে পজিটিভ আসে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। কিন্তু এ বছর কেন জানি উপসর্গ থাকার পরও এ পরীক্ষা নেগেটিভ হিসেবেই পাওয়া যাচ্ছে অনেকের ক্ষেত্রে। ফলে ডেঙ্গু হলেও চিকিৎসা নিতে দেরি হয়ে যাচ্ছে।’
সোনালী/জেআর