ঢাকা | জুন ১৭, ২০২৫ - ১১:৫৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম

জিয়া পরিবার খুনি পরিবার: শেখ হাসিনা

  • আপডেট: Tuesday, August 22, 2023 - 12:32 am

♦ গ্রেনেড হামলার রায় দ্রুত কার্যকর করা উচিত ♦ সাহস থাকলে তারেক দেশে আসুক ♦ শেখানো বুলি মানবাধিকার সংস্থার ♦ কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে আমাদের নেতা-কর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচার হয়েছে, বিচারের রায় হয়েছে। এ রায় দ্রুত কার্যকর করা উচিত।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী স্মৃতিফলকের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তখন তো খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী, কী ভূমিকা ছিল তাঁর। আহতদের চিকিৎসায়ও বাধা দিয়েছে। এতে কী প্রমাণ হয়, খালেদা-তারেক এটার সঙ্গে জড়িত। তদন্তেও প্রমাণ হয়েছে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত। খুনিদের জবানবন্দিতে ফুটে উঠেছে। আর ২১ আগস্টে খালেদা-তারেক জড়িত, এটাও প্রমাণ হয়েছে। তিনি বলেন, জিয়া পরিবার মানেই হচ্ছে খুনি পরিবার। বাংলাদেশের মানুষ ওই খুনিকে (তারেক রহমান) ছাড়বে না, বাংলাদেশের মানুষ ওদের ছাড়বে না। এই বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২১ আগস্ট হত্যার বিচার হয়েছে, রায় হয়েছে। কাজেই এ রায় কার্যকর করা উচিত। কিছু আছে কারাগারে, কিন্তু মূল হোতা (তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে) তো বাইরে। সে তো মুচলেকা দিয়ে বাইরে চলে গেছে। তো সাহস থাকলে আসে না কেন বাংলাদেশে? আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সেই সুযোগ নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলে। আর কত হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে চলে গেছে, সেই টাকা খরচ করে। ওদের (বিএনপির সমাবেশে) কিছু লোক হয়, সেই দেখে তার লম্ফঝম্ফ। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে সে চেনেনি। এই বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না। এ সময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা মানুষের কাছে যান। বলেন, কী করে খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া আপনাদের জীবনটা ধ্বংস করেছে। কীভাবে তারা দেশ লুটপাট করেছে। স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করেছে। নিজেরাও অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে।

দেশবাসীকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। ওই খুনিদের হাতে যেন এ দেশের মানুষ আর নিগৃহীত হতে না পারে। অগ্নিসন্ত্রাস আর জুলুমবাজি করে এ দেশের মানুষকে হত্যা করতে না পারে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। খুনি, দুষ্কৃতকারী, অস্ত্র চোরাকারবারি, ঘুষখোরেরা যেন মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। ওই খুনিদের প্রতি ঘৃণা সব মানুষের, সবাই তাদের ঘৃণা জানাবে। বিএনপি-জামায়াতের প্রতি অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর তো হামলা করেছেই, সাধারণ মানুষও ওদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। ঘাতক ঘাতকই। ওরা তো জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ওরা তো জনগণকে হত্যা করেছে। বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। পেট্রল ঢেলে আগুন দিচ্ছে। হাত-পা ধরে কান্নাকাটি করলেও ছাড়ে না। এটাই তো বিএনপির আসল চেহারা। এটাই বিএনপির চরিত্র। এর নেতৃত্ব খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া তারাই তো দিচ্ছে।

বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ তারা ভোটের অধিকারের কথা বলে, আর কিছু আছে তাদের ভাড়া করা; তারা মানবাধিকারের কথা বলে। যারা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্নে তোলে, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন- আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী তাদের আপনজন হারিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের কাছে, তাদের মানবাধিকার কোথায়? আমরা বিচার পাইনি। আমরা কেন বিচারবঞ্চিত ছিলাম।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা দেখি বাংলাদেশের মানবাধিকারের কথা বলে, তাদের (বিএনপি) শেখানো বুলি যারা বলেন, তাদের কাছেও আমার প্রশ্ন- এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বারবার হয়েছে। যার মূল হোতা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া-তারেক জিয়াসহ জামায়াতের যুদ্ধাপরাধীরা। তারা এখনো করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে মানবাধিকার সংরক্ষণ হয়েছে। মানুষ ন্যায়বিচার পায়। কেউ অপরাধ করলে তার বিচার আমরা করি। কিন্তু আমরা তো বিচার পাইনি। কেন ৩৩ বছর লেগেছে বিচার পেতে। কী অপরাধ করেছিলাম যে আমরা বিচার পাইনি। বিচারের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এ সময় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।

২১ আগস্টের ঘটনা বর্ণনা করে ওই ঘটনার প্রধান শিকার শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে র‌্যালি করছিলাম। আর সেখানেই প্রকাশ্য দিবালোকে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে আর্জেস গ্রেনেড হামলা হয়। যুদ্ধের সময় যে গ্রেনেড ব্যবহার হয়, সেটা সেখানে ছোড়া হলো। মানুষের নিরাপত্তার জন্য যখন আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছি; সেই মিছিলের ওপর ১৩টি গ্রেনেড হামলা হলো। আর কতগুলো যে ওদের হাতে ছিল কে জানে? সেদিন যে বেঁচে গিয়েছিলাম সেটাই অবাক বিস্ময়।

ঘটনার সময়ের বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল বক্তব্য শেষ করেছি, নিচে নামব, তখন ফটোগ্রাফার গোর্কি আমাকে বলল, আপা একটু দাঁড়ান আমি ছবি নিতে পারিনি। সঙ্গে সঙ্গে অন্য ফটোগ্রাফাররা বলল, আপা একটু দাঁড়ান, কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল গ্রেনেড হামলা। হানিফ (ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) ভাই আমাকে টেনে নিচে বসিয়ে দিল।

তিনি বলেন, একটা-দুইটা না, ১৩টা গ্রেনেড। সেদিন বেঁচে গেলাম, সেটাই অবাক বিস্ময়। আমাকে চারদিক থেকে নেতা-কর্মীরা ঘিরে ধরল। গ্রেনেড ট্রাকের ওপর না পড়ে ট্রাকের ডালার সঙ্গে বাড়ি খেয়ে নিচে পড়ে যায়। সমস্ত স্পি­ন্টার হানিফ ভাইয়ের মাথায়। তার সমস্ত গা বেয়ে রক্ত, আমার কাপড়েও এসে পড়েছে। প্রথমে তিনটি গ্রেনেড, তারপর একটু বিরতির পর আবার একটার পর একটা গ্রেনেড মারা হলো। আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত। ঘটনায় ২২ জন মৃত্যুবরণ করে। হাজারের কাছাকাছি নেতা-কর্মী আহত হয়।

এর মধ্যে ৫০০ জন অত্যন্ত খারাপভাবে আহত হয়। এমন একটি পরিবেশ সেখানে কেউ উদ্ধার করতে আসতে পারেনি। যারা উদ্ধার করতে এসেছিল তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করা হয়। আমার প্রশ্ন- কেন এই টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করা হয়েছিল।

এ সময় ১৫ আগস্টের প্রেক্ষাপটও সামনে আনেন তিনি। চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেন, কী অপরাধ করেছিলাম আমি! বাবা-মা-রাসেলসহ এতগুলো মানুষকে হত্যা করা হলো। আমাকে দেশে আসতে দেওয়া হলো না। মামলা করতে দেওয়া হলো না। বিচার চাইতে দেওয়া হলো না। ন্যূনতম মানবাধিকারটুকু থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হলো।

তিনি বলেন, আজকে তারা (বিএনপি) ভোটের অধিকারের কথা বলে। আর কিছু আছে তাদের ভাড়া করা, তারা মানবাধিকারের কথা বলে। যারা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন- আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি, ৩ নভেম্বর আপনজন হারিয়েছি, আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছে, মৃত্যুবরণ করেছে বিএনপি-জামায়াতের হাতে, তাদের মানবাধিকার কোথায়?

আলোচনা সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাদের দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে অনেক আহত নেতাই বসে আছেন। এখনো যাদের শরীরে সেই স্পি­ন্টার রয়ে গেছে। সেই যন্ত্রণা নিয়ে তাদের বেঁচে থাকতে হয়। আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের শরীরও ঝাঁজরা। এখানে অনেকেই আছে, কত নাম বলব, সবাই আহত। সেদিন সাংবাদিকও আহত হয়। এ ধরনের ঘটনা একটি রাজনৈতিক দলের ওপর করতে পারে, এটা কল্পনাও করা যায় না। কোনো দিন এ ধরনের ঘটনা দেখা যায়নি।

প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ছুটে আসে। আহতদের সাহায্য করে। সেদিন কিন্তু কেউ নেই। আমাদের নেতা-কর্মীরা যারা সাহায্যের জন্য ছুটে আসে, তাদের ওপরও পুলিশ উল্টো লাঠিচার্জ শুরু করে। তাদের ওপর টিয়ারগ্যাস মারা শুরু করে। আমি গাড়ি নিয়ে একটু সামনে যেতেই শুনি টিয়ার গ্যাস হামলা। আহত এক নারী কর্মীর স্বামীকে লাথি মেরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই ওইদিন সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা লোক পাঠিয়ে সমস্ত আলামত নষ্ট করতে হোসপাইপ দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে চায়।

আমি শুনে নানককে (জাহাঙ্গীর কবির নানক) বললাম, তোমাদের এখনই যেতে হবে। ওই জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে রাখতে হবে। সেখানে গিয়ে লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে রাখো। দুটো গ্রেনেড অবিস্ফোরিত আছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা হয়নি। যে সেনা অফিসার পেয়েছিল, তিনি সেটা আলামত হিসেবে রাখার কথা বলেছিলেন। সে কারণে তিনি চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। অর্থাৎ কোনো আলামত রাখতে দেয়নি। আহতদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছে আমাদের নেতা-কর্মীরা।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ, সেখানে কোনো রোগী নেওয়া হবে না। ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি তালাবদ্ধ করে বিএনপি মানসিকতার চিকিৎসকরা সরে গেছে। কেউ ছুটে আসেনি চিকিৎসা করতে। সিরিঞ্জ, সুচ পাওয়া যাচ্ছিল না। আমাদের ডাক্তাররা ছুটে গিয়ে তালা ভেঙে সরঞ্জাম নিয়ে পরে চিকিৎসা করে। ঢাকা শহরে কত যে চিকিৎসা কেন্দ্র আছে, সেদিনই তা জানতে পারি।

ঘটনার বর্ণনা করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন ৫ নম্বরে (সুধাসদনে) ফিরি, আমার সারা শরীরে রক্ত। রেহানা দেখে স্তব্ধ হয়ে যায়। আমি বলি আমার কিছু হয়নি। আমি চলে এসেছি কিন্তু ওখানে কী অবস্থা আমি জানি না। সেখানে লাশের ওপর লাশ পড়ে আছে। আমি লোক পাঠাই, গাড়ি পাঠাই, যত পারা যায় সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাসার সকলকে পাঠিয়ে দিই।’ তখন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী, তিনি কী ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেই প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে (খালেদা জিয়া) কেন বাধা দিল পুলিশকে? কেন সে কোনো উদ্যোগ নিল না আলামত রক্ষা করতে।

এতে কী প্রমাণ হয়? এই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে খালেদা, তারেক গং জড়িত; এতে কোনো সন্দেহ নেই এবং তদন্তেও সেটা বেরিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল, তার সঙ্গে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল, এটা খুনি রশীদের ইন্টারভিউতে বেরিয়ে এসেছে। জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছিল সবাইকে শেষ করে দিতে। তারও তো দায়িত্ব ছিল, সে তো উপ-সেনাপ্রধান ছিল।

সে তো তার ভূমিকা রাখেনি। বরং খন্দকার মোশতাক; খুনি, বেইমান, মোনাফিক, বাংলার আরেক মীর জাফর। সে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ওই জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়। কী সখ্য ছিল? যেহেতু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল, সে কারণেই তাকে পুরস্কৃত করেছিল মোশতাক।

সম্প্রতি একটি মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের সাজার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তারা এত অর্থসম্পদ বানায় যে এফবিআইয়ের অফিসারকে হায়ার করে জয়ের (সজীব ওয়াজেদ জয়) বিরুদ্ধে এবং জয়কে কিডন্যাপ করে হত্যার চেষ্টা করে। আমরা তো জানতেও পারিনি কোনো দিন। জানতে পেরেছি কীভাবে? ওই এফবিআইয়ের অফিসারের বিরুদ্ধে আমেরিকায় মামলা হয় দুর্নীতির জন্য।

আর ওই মামলা করতে গিয়ে ওই কোর্টে বেরিয়ে আসে, সে বিএনপির এজেন্টদের থেকে টাকা খেয়েছে, জয়কে কিডন্যাপের চেষ্টা করেছে। সেই মামলার রায়ে বেরিয়ে আসে শফিক রেহমান আর মাহমুদুর রহমানের নাম। হত্যা-খুনের রাজনীতিটাই বিএনপি জানে এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, খুনের রাজনীতি করা, মানুষ হত্যা, একটি দলকে নিশ্চিহ্ন বা পরিবারকে হত্যা করা- এই রাজনীতি তো বিএনপি করে। খালেদা জিয়া করে। এটা তো মানুষের কাছে স্পষ্ট।

সোনালী/জেআর

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS