রাজশাহীর কোল্ড স্টোরে ডাকাতির ঘটনায় জড়িতরা গ্রেপ্তার
সোনালী ডেস্ক: রাজশাহীর রাজ কোল্ড স্টোর থেকে ৩০ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় জড়িতরা বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে জেলার ফকিরহাটে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় আন্তজেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উপজেলার পিলজঙ্গ ইউনিয়নের কাটাখালী মোড়ের পার্শ্ববর্তী একটি বালুর মাঠ থেকে ফকিরহাট থানা পুলিশ এদের গ্রেপ্তার করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়অস্ত্রসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
গত শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার পাতিলাখালী গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে জালাল শেখ (৫৭), একই গ্রামের আবুল কামাল শেখের ছেলে কাদের শেখ (২৮), যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার মৃত মোতালেবের ছেলে কামরুল সিলাম (৪০), কোতায়ালী থানার হামিদপুর গ্রামের মোকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইকতিয়ার বিশ্বাস (৪২) এবং নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কুন্দসী গ্রামের ধলা গাজীর ছেলে জাকির গাজী।
পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির সাথে যুক্ত বলে স্বীকার করেছেন।
এছাড়াও গত ২৫ জুন রাজশাহীর রাজ কোল্ড স্টোরে ডাকাতির ঘটনায় তারা জড়িত। রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছীতে রাজ কোল্ড স্টোরের সিন্দুক ভেঙ্গে ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৭২ টাকা ডাকাতির ঘটনায় তারা জড়িত বলেও স্বীকার করে।
তাদের কাছ থেকে জব্দ ডাকাতির সরঞ্জামাদির মধ্যে রয়েছে, দেশীয় তৈরি পিস্তল, আগ্নেয়াস্ত্রে ব্যবহৃত পুরাতন গুলি, লোহার রড, লোহার চাপাতী, হাতুড়ী, রেঞ্জ, চাকু, প্লাস, হ্যাক্সো ব্লেডের হাতল, গ্যাসের বার্নার, স্ক্রু ড্রাইভার, কাটার, ড্রিল মেশিনে ব্যবহৃত লোহার দন্ড।
পুলিশ সুপার আরিফুল হক বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি জেলার কোথাও একটি সসস্ত্র দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করতে মোল্লাহাট ও ফকিরহাট থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে গভীর রাতে পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার ডাকাতরা শুধু বাগেরহাট নয়, রাজশাহী, রংপুর ও কুড়িগ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের প্রধান লক্ষ ছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বড় দোকান ও ধর্নাঢ্য বাড়ি।
তাদের সাথে আধুনিক সিন্দুক ও তালা কাটার জন্য গ্যাস সিলিন্ডারও থাকে। এই ডাকত দলটিতে অন্তত ১০ জন সদস্য রয়েছে। কখনও এক সাথে, আবার কখনও দুটি টিমে ভাগ হয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তারা।
সোনালী/জেআর