ঢাকা | জুলাই ৩, ২০২৫ - ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

রাজশাহীতে অচেতন করে ছাত্রকে বলাৎকার, বৃদ্ধসহ গ্রেফতার ২

  • আপডেট: Sunday, August 13, 2023 - 6:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী শহরের শিরোইল কাঁচাবাজার এলাকার ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে বলাৎকার করার অভিযোগে বৃদ্ধসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে আরএমপি’র বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।

গতকাল শনিবার রাতে শহরের মতিহার থানা ও জেলার বাঘা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সমর কুমার সরকার (২১) ও রান্টু ইসলাম (৫২)। সমর রাজশাহী জেলার বাঘা থানার গাওপাড়ার শ্রী লিপটন কুমারের ছেলে ও রান্টু ইসলাম একই থানার বাঘা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের মৃত মাজেদের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী রাজশাহী নগরীর শিরোইল কাঁচাবাজার এলাকার ১৩ বছর বয়সি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। সে গত ১ আগস্ট বিকালে কোচিং থেকে বাড়ি ফিরে না আসায় তার বাবা-মা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আশপাশ এলাকা-সহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওই দিন রাতেই বোয়ালিয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন।

পরবর্তীতে গত ২ আগস্ট সকাল সাড়ে নয়টায় ওই স্কুল ছাত্র বাড়ি ফিরে আসলে তার বাবা-মা বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন।

পরে ভুক্তভোগী ছাত্রটি তার বাবা-মাকে জানায়, শিরোইল কাঁচাবাজারের ফটোকপি দোকানের কর্মচারি আসামি সমরের সাথে ফটোকপি করার সুবাদে তার পরিচয় হয় এবং সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১‌ আগস্ট বিকাল পাঁচটায় কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার সময় শিরোইল কাঁচা বাজার এলাকায় আসামি সমরের সাথে তার দেখা হয়।

সেখানে আসামি সমর তাকে চেতনা নাশক পদার্থ পান করিয়ে অপহরণ করে অপর আসামি রান্টু ইসলামের বাড়ি বাঘাতে নিয়ে আটকিয়ে রাখে। সেখানে রাতে সেই ছাত্রকে ঔষধ খাইয়ে আসামিরা জোরপূর্বক বলাৎকার করে। বলাৎকারের বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পরের দিন ২ আগস্ট সকাল সাড়ে নয়টায় ছাত্রটিকে মতিহার থানার তালাইমারি মোড়ে রেখে যায়।

আসামিদের ভয়ে ছেলেটি তার বাবা-মার কাছে বিষয়টি গোপন রাখে। পরবর্তীতে আসামি সমর পুনরায় সেই ছাত্রকে বলাৎকারের উদ্দেশ্যে বাঘা নিয়ে যাওয়ার জন্য মোবাইল করলে বিষয়টি ওই স্কুলছাত্র তার বাবা-মাকে অবহিত করে। প্রাথমিকভাবে ভিকটিমের বাবা-মাও লোক লজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখেন। পরে গত ১১ আগস্ট লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করলে বোয়ালিয়া থানায় একটি ধর্ষণের মামলা রুজু হয়।

মামলা রুজুর পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) সাইফউদ্দীন শাহীনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারি পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম ও তার একটি দল নিখোঁজ স্কুল ছাত্রকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, পুলিশের ওই দলটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১২ আগস্ট দিবাগত রাত দেড়টায় শহরের তালাইমারি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি সমরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি সমরের দেয়া তথ্য মতে ভোর চারটা ৫০ মিনিটে রাজশাহী জেলার বাঘা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আরেক আসামি রান্টু ইসলামকে তার বাড়ি হতে গ্রেফতার করে।

ওসি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে আসামি সমর নিজের দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

সোনালী/জগদীশ রবিদাস 

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS