ঢাকা | নভেম্বর ২৬, ২০২৪ - ৩:৫৪ পূর্বাহ্ন

শহরের শৃঙ্খলা নিশ্চিতে পরিধি বাড়ছে সিসি ক্যামেরার

  • আপডেট: Wednesday, August 9, 2023 - 12:00 am
সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুন পুলিশ কমিশনারের মতবিনিময় 

স্টাফ রিপোর্টার: সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহী শহরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। পুলিশের বক্তব্য, শহরজুড়ে সিসি ক্যামেরা (ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা) বসানো নিশ্চিত করতে পারলে অপরাধীরা আর অপরাধ সংঘটিত করে পার পাবে না। সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রায় ৫০০ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করছে মহানগর পুলিশ।

তবে বর্তমান সময়ে সিসি ক্যামেরার পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) নব নিযুক্ত কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার। তিনি বলেছেন, “আমার প্রধান লক্ষ্য রাজশাহীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা। শহরজুড়ে আগে থেকেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে। তবে এখন থেকে তার পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে।”

সম্প্রতি নতুন কর্মস্থলে যোগদান উপলক্ষে গতকাল সোমবার বিকালে নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়স্থ মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে রাজশাহীর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নয়া পুলিশ কমিশনার এসব কথা বলেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা করলে কোনোরকম ছাড় দেয়া হবে না- এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন বর্তমান পুলিশকে ২০১৩-১৪ সালের পুলিশ মনে না করেন। পুলিশ কিংবা সাধারণ মানুষের গায়ে হাত পড়লে, সেই হাত এবার আস্ত থাকবে না।’

বিপ্লব বিজয় বলেন, “সামনে নির্বাচন। আমরা যদি দেখি; কোনো একটি মহল উসকানি দিচ্ছে, বা রাস্তাঘাটে নেমে এই গ্রিনসিটির গ্রিনকে রক্তে লাল করার চেষ্টা করছে; তবে আমরাও বিনা হাতে ফিরে আসব না। আমরাও তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেব। এমন অপচেষ্টা হলে অবশ্যই তাদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে।”

নতুন কমিশনার আরও বলেন, “আমাদের দক্ষ সাইবার সিকিউরিটি ইউনিট আছে। কন্ট্রোল রুম থেকে পুরো শহরই পর্যবেক্ষণ সম্ভব। তাই শহর নিরাপত্তার চাদরে আচ্ছাদিত থাকবে। আমাদের সহজ-সরল মানসিকতা যদি কেউ জটিল করে নিতে চায়, তাদের প্রতিও আমাদের সতর্কতা বাণী থাকলো। আমরাও কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না।”

দ্রুত কিছু উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়ে মহানগর পুলিশের এই কমিশনার বলেন, “শহরে যেসব উঠতি বয়সের কিশোর-তরুণ মোটরসাইকেলের সাইলেন্সারের মুখ বড় করে উচ্চশব্দে প্রচণ্ড গতিতে রাস্তা দাপিয়ে বেড়ায় আগামীকাল থেকেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু হবে। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফাঁকি দিয়ে স্কুল-কলেজের ড্রেস পরে যারা শহরের পদ্মাপাড়ে বসে আড্ডা দেয়, তাদের বিরুদ্ধেও পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যমকর্মীরা কমিশনারের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান। এর প্রেক্ষিতে পরিস্কার করে আরএমপি কমিশনার বলেন, “পুলিশের কোনো সদস্য যদি মাদক, জুয়া ও পতিতাবৃত্তির পক্ষে অবস্থান নেন, তাহলে তিনি আরএমপিতে থাকতে পারবেন না।”

মতবিনিময়কালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) বিজয় বসাক, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. সাইফ উদ্দীন শাহীনসহ আরএমপির বিভিন্ন জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালী/জগদীশ রবিদাস