ঢাকা | মে ১৯, ২০২৪ - ১০:২১ অপরাহ্ন

১৪ দলের শান্তি সমাবেশ || যা বললেন কেন্দ্রীয় নেতারা

  • আপডেট: Tuesday, August 8, 2023 - 12:19 am
বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের কড়া সমালোচনা 

♦ অগ্রযাত্রা ব্যহত হতে দেবো না: আমু

♦ ষড়যন্ত্র করে দুর্বল করা যাবে না: দিলীপ বড়ুয়া

♦ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন: বাদশা 

♦ মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবব্ধ: মায়া

অনলাইন ডেস্ক ও রিপোর্টার: আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচাল এবং দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জাতীয়, আন্তর্জাতিক শক্তি ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতারা। তবে এসব ষড়যন্ত্র রাজপথেই প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

সোমবার সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আয়োজিত ১৪ দলের শান্তি সমাবেশ থেকে তারা এসব কথা জানান। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। বৃষ্টির মধ্যেই আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ ১৪ দলভুক্ত অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শান্তি সমাবেশে অংশ নেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তৃতা-বিবৃতির কঠোর সমালোচনা করে সমাবেশে আমির হোসেন আমু বলেন, “বিএনপি মহাসচিব তাদের কারাবন্দি নেত্রীর সঙ্গে বারবার দেখা করছেন। এর থেকে আর বেশি কী সুবিধা চায় বিএনপি? কোনও ষড়যন্ত্র এই দেশের মাটিতে টিকবে না। কোনও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হতে পারবে না, ব্যাহত হতে দেবো না।”

এদেশে কোনও দিন ষড়যন্ত্র স্থায়ী হয়নি উল্লেখ করে আমু বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই দেশটির (পাকিস্তান) দোসরদের গাত্রদাহ হচ্ছে। শেখ হাসিনা যখন সারা বিশ্বের কাছে সমাদৃত, তখন তোমাদের (বিএনপি) গাত্রদাহ হয়, আন্দোলন ও সংগ্রামের কথা মনে পড়ে।”

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আমু বলেন, “আর কী চান আপনারা? আর কী গণতন্ত্র চান আপনারা? এর চেয়ে বড় গণতন্ত্র, বড় সুবিধা কোনও দিন, কোনও সময়, কোনও দেশের সরকার দিয়েছে? এর চেয়ে বড় দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনা কী দেখাতে পারেন?”

সমাবেশে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, “শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হলে গঙ্গা পানিচুক্তি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে বিদেশিদের সঙ্গে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে, বিদেশিদের চাপ এবং তাদের ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে দুর্বল করতে পারবে না।”

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, “বিএনপি-জামায়াত যদি আগামী নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালায়, অগ্নিসন্ত্রাস বা সহিংসতার পথ বেছে নেয়; তবে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথেই তাদের প্রতিহত করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। আমরা ভুলে যায়নি, এই যুক্তরাষ্ট্রই মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান বিরোধীতাকারী রাষ্ট্র ছিল।”

বাদশা বলেন, “তারা শুধুমাত্র বিরোধীতাই করেনি, আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পেছনেও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ষড়যন্ত্র ছিল। কাজেই শুধু নির্বাচন নয়, আমাদের দেশের কোন বিষয়েই সাম্রাজ্যবাদীদের হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না। আমরা বলতে চাই, আগামী সংসদ নির্বাচন শেখ হাসিনার অধিনেই অনুষ্ঠিত হবে। শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠিতই নয়, বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকেই ক্ষমতায় আনা হবে।”

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “যারা আগামী নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নৈরাজ্য করতে চায় তাদের এই ষড়যন্ত্র কোনও দিনও সফল হবে না। নির্বাচনকে বানচাল করার সাহস কেউ পাবে না। বাংলার মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবব্ধ।”

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, “আগামী নির্বাচনকে নস্যাৎ করা, দেশের চলমান উন্নয়নকে থামিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। জাতীয় আন্তর্জাতিক শক্তি যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিরুদ্ধে ছিল তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের, অপরাধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এই অপশক্তি, সন্ত্রাসী শক্তিকে আমরা মাঠে প্রতিহত করবো।”

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের পরিচালনায় ১৪ দলের সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীণ আকতার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, তরিকত ফেডারেশনে সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভাণ্ডারি, গণআজাদী লীগের এসকে সিদকার প্রমুখ।

সোনালী/জগদীশ রবিদাস