ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ৮:২৮ অপরাহ্ন

ধরা পড়ে ঘুষের টাকা চিবিয়ে খেলেন সরকারি কর্মকর্তা!

  • আপডেট: Wednesday, July 26, 2023 - 10:00 am

অনলাইন ডেস্ক: এবার ঘুষের রুপি চিবিয়ে খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ঘুষ নিতে গিয়ে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়তেই সেই রুপি মুখে পুরে চিবিয়ে খাওয়া শুরু করেন ওই কর্মকর্তা। ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের কাটনি এলাকার।

জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশের রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা গজেন্দ্র সিং সোমবার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষ বাবদ ৫ হাজার রুপি নিতে গিয়ে তিনি জব্বলপুরের লোকায়ুক্ত স্পেশাল পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট (এসপিই) সদস্যদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে যান।

এসপিইর সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ সঞ্জয় সাহু জানান ‘চন্দন সিং লোধি নামে রাজ্যটির ভারখেদা গ্রামের এক ব্যক্তি তার জমিসংক্রান্ত কাজ নিয়ে গজেন্দ্র সিংয়ে কাছে যান।

কিন্তু কাজ করে দেওয়ার আশ্বাসে ওই সরকারি কর্মকর্তা ৫ হাজার রুপি দাবি করেন। এরপর ঘটনাটি লোকায়ুক্ত পুলিশকে জানান ওই ব্যক্তি। অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে হাতেনাতে ধরতে ফাঁদ পাতেন লোকায়ুক্ত পুলিশ।

পূর্ব কথামতোই সোমবার বিলহারি হল্কা গ্রামে গজেন্দ্র সিংয়ের অফিসে গিয়ে তার হাতে ৫ হাজার রুপি তুলে দেন ওই ব্যক্তি। এই সময়েই সেখানে প্রবেশ করে লোকায়ুক্ত পুলিশের সদস্যরা।

কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গজেন্দ্র সিং ঘুষ বাবদ নেওয়া অর্থ থেকে ৫০০ রুপির নোটগুলো নিজের মুখে ঢুকিয়ে চিবোতে থাকেন। গজেন্দ্রর এই কান্ড দেখে সেখানে উপস্থিত এসপিইর সদস্যরা হতবাক হয়ে পড়েন।

গজেন্দ্রর মুখ থেকে ওই রুপি বের করার চেষ্টা করলেও পুলিশের সদস্যরা তা করতে ব্যর্থ হন। এরপরই গজেন্দ্রকে এসকর্ট করে স্থানীয় কাটনি হাসপাতালে নিয়ে আসেন পুলিশের সদস্যরা।

পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি হাসপাতালের কর্মীরাও গজেন্দ্রকে তার মুখ থেকে ওই চিবানো নোটটি একটি নির্দিষ্ট পাত্রে ফেলার অনুরোধ জানান। কিন্তু কারও কথার কোনো তোয়াক্কা না করেই হাসপাতালের স্ট্রেচারে বসেও অনবরতভাবে ওই নোটটি চিবোতে থাকেন। একসময় সেটি গিলে ফেলেন।

পরে হাসপাতালের কর্মীদের প্রচেষ্টায় বাকি ৯টি ৫০০ রুপির চিবানো মন্ড (pulp) মুখ থেকে বের করা হয়। এরপর তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। আপাতত সুস্থই আছেন অভিযুক্ত গজেন্দ্র।

পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া, তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা এবং নোট চিবানোর গোটা ঘটনার ভিডিও সোমবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

সোনালী/জেআর