ঢাকা | মে ১৫, ২০২৫ - ১০:৫২ অপরাহ্ন

শিরোনাম

বগুড়ায় খালা-ভাগ্নিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ৫ বঘাটে গ্রেপ্তার

  • আপডেট: Thursday, July 20, 2023 - 9:00 pm

অনলাইন ডেস্ক: বগুড়ায় আশ্রয় নিতে এসে এলাকার বখাটেদের হাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন খালা ও ভাগ্নি। এসময় তাদের স্বর্ণালংকারসহ নগদ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। খালা ও ভাগ্নিকে ‘খারাপ নারী’ অপবাদ দিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। এর আগে বুধবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে কাহালু উপজেলার পাইকড় থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় ডাকাতি হওয়া নগদ অর্থের কিছু অংশ ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের আবুল কাশেম মানিক (৩৫), রাকিব হোসেন (২৩), শাকিল হোসেন (২৩), আতিক রহমান প্রন্ত (২২) ও হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫)। পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, ওই নারী (৩৯) নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। গত ১২ জুলাই স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে তার বোনের মেয়েকে (১৫) নিয়ে রংপুরের তারাগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ওই নারীর সহকর্মী রংপুরের বাসিন্দা রব্বানীও তাদের সঙ্গে ছিলেন। পথে বগুড়ার সদরের বারোপুরে রাত ২টার দিকে বাসটি নষ্ট হয়ে যায়। উপায় না পেয়ে সহকর্মী রব্বানীর বন্ধু কাহালু পাইকড়ের ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে আশ্রয় নেন তারা।

পুলিশ সুপার বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে গত ১৩ জুলাই স্থানীয় বখাটেরা এলাকায় রটিয়ে দেয় আব্দুর রাজ্জাক বাড়িতে খারাপ মেয়েদের নিয়ে এসেছে। বাধ্য হয়ে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে আব্দুর রাজ্জাক তার অটোভ্যানে করে ভুক্তভোগী নারী, তার ভাগ্নি ও রব্বানীকে রংপুরের বাসে তুলে দেয়ার জন্য রওনা দেন। পথে কাহালুর বাগইল গ্রামের বড় পুকুর ব্রিজের কাছে পৌঁছালে মানিক, রাকিব, শাকিল, প্রান্ত, হাবিবসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪ থেকে ৫ জন যুবক ভ্যানের গতিরোধ করে ওই নারী ও তার ভাগ্নিকে পৃথক স্থানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

তিনি বলেন, এর আগে ভুক্তভোগীদের মারধর করে ৭২ হাজার টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল কেড়ে নিয়ে যায়। পরে ওই নারী ও তার ভাগ্নিকে নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জে ফিরে যান। পরে সুস্থ হয়ে ওই নারী তার স্বামী, সহকর্মী রব্বানী ও ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাককে সঙ্গে নিয়ে গত ১৮ জুলাই কাহালু থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তাররা পেশাদার অপরাধী নয়। তবে তারা ডাকাতির উদ্দেশ্য নিয়ে এই অপরাধ সংগঠিত করেছেন। গ্রেপ্তারদের কাছে বিস্তারিত জানতে আদালতে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সোনালী/জেআর

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS