ধরণীকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই: বাদশা
স্টাফ রিপোর্টার: শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের ভূমিকা যেমন ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী তেমনি অর্থনৈতিক উন্নয়নেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। জাতিসংঘ ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রকৃতি ধ্বংসের কারণেই মহামারীর সম্মূখীন বিশ্ব। কাজেই পরিবেশ এবং প্রকৃতির সুরক্ষায় অতিমাত্রায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।
আজ শনিবার নগরীর বঙ্গবন্ধু আদর্শ বিদ্যালয়ে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে এমপি বাদশা এবং বঙ্গবন্ধু আদর্শ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি অধ্যাপক তসলিমা খাতুন স্কুল প্রাঙ্গণে নিজ হাতে গাছ লাগিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এসময় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘অতিবৃষ্টি, বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টিসহ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ কী? এসবের কারণ হতে পারে গাছপালা ধ্বংস। গাছ ধ্বংসের ফলে পরিবেশ ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় বনভূমি খুবই কম। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বনভূমি কাটার মাত্রাও বেড়ে চলেছে। অদূর ভবিষ্যতে সাধারণ প্রয়োজনে বৃক্ষ সংকট একটি ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো অধিকহারে গাছ কাটছে। যার ফলশ্রুতিতে বিশ্বের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বলা হচ্ছে, একটি গাছ কাটলে তার বদলে তিনটি গাছ লাগাতে হবে। এই বর্ষাকালই হচ্ছে বৃক্ষরোপণের উপযুক্ত সময়। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে কমপক্ষে একটি করে বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানাই।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, দারুস সালাম কালিম মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মনজুর মোরশেদ হাসান চুন্না, বালাজান নেশা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজরুল ইসলাম, গোলজারবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন প্রমুখ। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ ও পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনহাজুল আবেদীন।
সোনালী/জগদীশ রবিদাস