ঢাকা | মে ১১, ২০২৪ - ১০:৫২ পূর্বাহ্ন

অধ্যাপক তাহের হত্যা || যেদিন হতে পারে আসামিদের ফাঁসি

  • আপডেট: Sunday, July 9, 2023 - 2:00 pm

অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার চিঠি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬ থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের ফাঁসি কার্যকর হতে পারে।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মকর্তারা জানান, অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছিলেন। তাদের সেই আবেদন নাকচ হওয়ার চিঠি গত ৫ জুলাই রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে।

কারাগারের একটি সূত্র জানায়, বিধান অনুযায়ী, ডাকযোগে ওই চিঠি পাওয়ার ২১ দিন আগে নয়, আবার ২৮ দিনের পরে নয়– এমন সময়ের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করতে হয়। এই হিসাবে আগামী ২৬ থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের ফাঁসি কার্যকর হতে পারে।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ গতকাল শনিবার বলেন, ‘দণ্ডিতরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন, যা নাকচ হয়েছে। রোববার কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করব। সেখানে ওই দুইজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিন নির্ধারণ হবে।’

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির শিক্ষক আবাসিক এলাকার বাসা থেকে নিখোঁজ হন অধ্যাপক ড. এস তাহের। পরদিন বাসার পেছনে ম্যানহোল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ড. তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ। মামলায় গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

হত্যার কারণ সম্পর্কে তারা বলেন, ড. তাহের বিভাগের একাডেমিক কমিটির প্রধান থাকা অবস্থায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মহিউদ্দিনকে অধ্যাপক পদে উত্তীর্ণ করার সুপারিশ না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়।

২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক এ মামলায় ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দু’জনকে খালাস দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দু’জন হলেন, কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল ও শ্যালক সালাম।

পরে উচ্চ আদালতে আপিলে নাজমুল ও সালামের মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন হয়। খালাস পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী।

সোনালী/জেআর