রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা: আসামিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ
অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
এ-সংক্রান্ত আদেশ সোমবার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
দুই আসামি হলেন- রাবির একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম।
তাহের আহমেদের মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ জানান, ফাঁসির আদেশের পর দুই আসামিই প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছিলেন।
রাষ্ট্রপতি তাদের আবেদন নাকচ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। এ আদেশ সোমবার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে বলে শুনেছি।
এ বিষয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল ও ডিআইজি কামাল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলেও তারা কোনো সাড়া দেননি।
রাবি অধ্যাপক তাহের আহমেদ ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন। এর দু’দিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসার বাইরে ম্যানহোলে তার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি বাদী হয়ে আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে বিচারিক আদালত ২০০৮ সালে চারজনকে ফাঁসির আদেশ এবং দু’জনকে খালাস দেন।
২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে।
এর পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।
শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন।
এর পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামির দণ্ড বাড়ানোর জন্য আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন।
এরপর আসামিরা রিভিউ আবেদন করেন। কিন্তু আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আসামিদের করা ওই আবেদনও খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
সোনালী/জেআর