গরুর হাটে জালনোট চিনবেন যেভাবে
অনলাইন ডেস্ক: আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে জমে উঠছে পশুর হাট। দিন যতই যাচ্ছে ঈদকে ঘিরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ব্যস্ততা বেড়েছে।
তবে প্রতিবছরই পশু কেনার সময় অনেক বিক্রেতা ও ক্রেতা বিপাকে পড়েন। কারণ কোরবানির ঈদকে ঘিরে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী জালনোটের ব্যবসা করে থাকে।
পশুর হাটের ভিড়, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ব্যস্ততাকে কাজে লাগিয়ে থাকেন তারা।
তাই পশু কেনার সময় কখনো তাড়াহুড়ো করবেন না। আর ক্রেতা ও বিক্রেতা টাকা বিনিময়ের সময় জালনোট কি না দেখে নিন। জালনোট চেনার সহজ কিছু উপায় রয়েছে।
কীভাবে চেনা যাবে জালনোট?
জালনোট চেনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক মানুষজনকে সাধারণ কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
১. ২০ টাকা এবং তদূর্ধ্ব মূল্যমানের আসল নোটের ওপরের প্রতিচ্ছবি, লেখা মূল্যমান এবং নকশার ওপর হাত বুলালে তা অমসৃণ, খসখসে লাগবে। জাল নোটে তেমন বোধ হবে না।
২. ১০ টাকা এবং তদূর্ধ্ব মূল্যমানের নোটের ওপর নিরাপত্তা সুতো সেলাইয়ের মতো ফোঁড়া থাকে। এছাড়া, আলোর বিপরীতে ধরলের বাঘের মাথার জলছাপ স্পষ্ট দেখা যায়। জাল নোটের সুতা বা জলছাপ এত সূক্ষ্ম থাকে না।
৩. আসল নোটে রং পরিবর্তনশীল কালি ব্যবহার করা হয়। ২০০০ সাল থেকে মুদ্রিত ৫০০ টাকার নোটের সামনের পিঠের ওপরের বাঁ দিকের কোণার ওপরের অংশ নাড়াচাড়া করলে রং পরিবর্তন হতে থাকে। সবুজ থেকে সোনালী আবার সবুজ হতে থকে। জাল নোটে এই রং পরিবর্তন হয় না।
আরো কিছু বিষয় রয়েছে যা জানা থাকলে চিনতে পারবেন জালনোট।
আসুন জেনে নেই জাল নোট চেনার সহজ উপায়-
জাল নোটগুলো নতুন হবে
জাল টাকার নোটগুলো সাধারণত নতুন হয়। কারণ জাল নোটগুলো সাধরণত কাগজের তৈরি, তাই পুরাতন হয়ে গেলে সেই নোটগুলো নাজেহাল হয়ে যায় বা তা অতি সহজেই বুঝা যায়।
ঝাপসা দেখায় জাল নোট আসলের মতো ঝকঝকে থাকে না, দেখতে ঝাপসা দেখায়। টাকা লেনদেন করার সময় একটু মনযোগ সহকারে দেখলেই বোঝা যায় ।
কাগজের মতো ভাঁজ হয়
জাল নোট কাগজের মতো ভাঁজ হয়। হাতের মধ্যে নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে ভাঁজ পরে যায়। আর আসল নোট ভাঁজ হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক
নোট সোজা করে ধরুন, এবার লক্ষ্য করুন নোটের বাম পাশে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত একটি সরল রেখা আছে।
একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ওটা কোনো রেখা নয়। সেখানে স্পষ্টভাবে ইংরেজিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কথাটা লেখা আছে।
ভাজ করলেও সহজে ভাঙে না
আসল টাকা সবসময় দুটি অংশ দিয়ে তৈরি হয়। টাকার দুই পাশে দুটো নোট জোড়া লাগানো থাকে এবং এটা হরিণের চামড়া দিয়ে তৈরি বলে পানিতে ভেজালেও খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে যাবে না। আর জাল নোট পানিতে ভেজানোর সঙ্গে সঙ্গেই তা ভেঙে যাবে।
আসল নোট সবসময় খসখসে
আসল টাকার নোট সব সময় খসখসে হয়। আর জাল নোট মসৃণ হয়।
আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট
জাল টাকা শনাক্তের অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট। এই লাইটের মাধ্যমে শনাক্ত করা খুবই সহজ। আসল নোটে এই লাইটের আলো ধরলে নোটের ওপর রেডিয়ামের প্রলেপ জ্বলজ্বল করে উঠবে। জাল নোটে তা হয় না।
সোনালী/জেআর