ঢাকা | ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪ - ১২:২৪ পূর্বাহ্ন

কী কথা হলো নরেন্দ্র মোদি-বাইডেনের

  • আপডেট: Friday, June 23, 2023 - 9:00 am

অনলাইন ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে বৈঠকের বিস্তারিত জানা না গেলেও ধারণা পাওয়া গেছে, উভয় পক্ষের আলোচনায়ই পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় স্থান পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে তার ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে সঙ্গে পাওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে ভারত অর্থ ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। উভয় পক্ষের আলোচনায় এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিষয়টিও স্থান পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সফরের দ্বিতীয় দিনে গতকাল হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসেন নরেন্দ্র মোদি। এর আগে মোদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের পক্ষ থেকে বিরল সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

পরে মোদি ও জো বাইডেন একান্ত আলোচনায় বসেন। বৈঠক শেষে তারা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় বাইডেন উল্লেখ করেন, ২১ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে। তিনি বলেন, ‘মাত্র তিনটি শব্দে আমেরিকা এবং ভারতের সম্পর্ককে বর্ণনা করা যায়। তিন শব্দে বাঁধা আছে দুই দেশ। তিন শব্দেই বাঁধা ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক।

জো বাইডেন আরও উল্লেখ করেছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধে যে অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা নিয়ন্ত্রণ করতে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করছে আমেরিকা এবং ভারত। পাশাপাশি স্বাস্থ্য-খাদ্য সুরক্ষা এবং দারিদ্র্য দূরীকরণেও ভারত এবং আমেরিকা জোট বেঁধে কাজ করছে। প্রবাসী ভারতীয়রাও দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধ করছে।

বাইডেন মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আপনার সহযোগিতার কারণে মুক্ত, নিরাপদ, সমৃদ্ধ ইন্দো-পেসিফিকের লক্ষ্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। এতে করে বহু দশক পরেও মানুষ বলবেন, কোয়ার্ড ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়েছে বিশ্বের ভালো করার কারণে।’ মোদিও তার বক্তব্যে বাইডেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।

তিনিও উল্লেখ করেন, দুই দেশ সম্পর্কের নতুন ক্ষেত্র রচনা করেছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, দুই নেতার বৈঠকের পাশাপাশি ভিসা ইস্যু নিয়ে নতুন নীতির কথা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালে মোট ৪ লাখ ৪২ হাজার এই১-বি ভিসা ইস্যু করেছিল আমেরিকা।

তার মধ্যে ৭৩ শতাংশ দেওয়া হয়েছিল ভারতীয়দের। এই আবহে এ নয়া নীতির ফলে আমেরিকায় বসবাসরত ভারতীয়রা উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের দ্বিতীয় দিনে এ খবর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।

এ নয়া ভিসানীতির ফলে আমেরিকায় বসবাসরত ভারতীয়রা উপকৃত হবেন। মোদির সফরকালে আমেরিকার এই ভিসানীতি বদল ভারতের জন্য বড় কূটনৈতিক জয় বলে দেখছেন অনেক বিশ্লেষকই। এদিকে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- প্রযুক্তি, মহাকাশ সহযোগিতা এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বাণিজ্য বিষয়ে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে।

এ কারণে দুই নেতার আলোচনার সময় বাইডেন ভারতকে চীনের ওপর নির্ভরতা কমানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানির ওপর নির্ভরতাসহ তাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কমানোর বিষয়ও গুরুত্ব পেয়েছে।

তবে নরেন্দ্র মোদি এসব বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভারত ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে চায়। কোনো অঞ্চলেই ভারত অস্থিতিশীলতা চায় না।

সোনালী/জেআর