রাজশাহী সিটিতে ভোট আজ
অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ। এই সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
ভোটারদের সুবিধার জন্য এই দুই সিটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রে ভোট পরিস্থিতি এবারও সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে সোমবার (১৯ জুন) রাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা। শেষ মুহূর্তের প্রচারে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে পথসভা, মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেছেন। তারা নগরবাসীকে নানা উন্নয়নের আশ্বাস দেন। নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় আওয়ামী লীগের মূল প্রতিপক্ষ জাতীয় পার্টি।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় রাজশাহীর ভোট বর্জন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে উল্লেখ করে ইসি আহসান হাবিব খান জানান, প্রতিটি নির্বাচনই আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জের। সকল নির্বাচন থেকে অভিজ্ঞতা নিচ্ছি, ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনি বিধি-বিধান প্রতিপালন নিশ্চিতকল্পে আমাদের অবস্থান কঠোর ছিল। পূর্বের ন্যায় রাজশাহী সিটি নির্বাচনের প্রতিটি পদক্ষেপেই আমরা সুতীক্ষ্ণ নজর রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।
জানা গেছে, সিটি নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার এবং আর্মড পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুরো নির্বাচনী এলাকায় সাত জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে থাকছে সিসি ক্যামেরা।
রাজশাহী সিটিতে প্রচার শেষ হয়েছে সোমবার রাত ৮টায়। চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম নির্বাচন বর্জন করেছেন। তবে প্রচারে শেষদিন পর্যন্ত লিটনসহ জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন ও জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার সক্রিয় ছিলেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম বিষয়ক মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রফিকুল আলম জানান, সিটির ১৫৫ কেন্দ্রে তিন স্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৪ হাজার সদস্য কাজ করবে। এর মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে থাকবে সাড়ে তিন হাজারের বেশি পুলিশ।
রাজশাহী র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানিয়েছেন, কেন্দ্রের বাহিরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে ২৫০ জন র্যাব সদস্য মাঠে থাকবে। এছাড়া ভোটের মাঠে থাকবে ৭ প্লাটুন বিজিবি।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৫। এরমধ্যে ১৪৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন।
নির্বাচনে ২৯ ওয়ার্ডে ১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১০ সংরক্ষিত নারী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৬ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী।
রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১৫৫টি কেন্দ্রের এক হাজার ১৫৩টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি বুথেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রের বাইরেও সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। মোট এক হাজার ৫৬০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
এসব ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা থেকে ইসি ভোট পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করবে। কোথাও কোনো প্রকার অনিয়ম বা অব্যবস্থাপনা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোনো কেন্দ্রে কেউ গোলযোগ সৃষ্টি বা সহিংসতার চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
সোনালী/জেআর