বিপর্যয়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড গুজরাট, বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা

অনলাইন ডেস্ক: আরব সাগরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় প্রবল শক্তি নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের গুজরাটের জখাউ বন্দরের স্থলভাগে আঘাত হানে।
ফলে সৌরাষ্ট্র উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো বাতাস, ভারি বৃষ্টিতে উপড়ে গেছে অনেক গাছ।
এতে গুজরাটের বহু বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে এখন পর্যন্ত দুইজন নিহত ও ২২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে লাখো মানুষকে।
দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার। কিছু জায়গায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়।
ঝড়টি ৬ ঘণ্টা তাণ্ডব চালায়। ঘূর্ণিঝড়টিকে ‘ক্যাটাগরি-৩’ বলে ঘোষণা করা হয়, যা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্বীকৃত।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় স্কুলসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুক্রবার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। কারণ ঘূর্ণিঝড়পরবর্তী রাজ্যের অনেক জায়গায় আকস্মিক বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
প্রবল বাতাসে ওখা ও জামনগরে কয়লা স্টোরেজ গ্রাউন্ডে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সাময়িক সময়ের জন্য পাঞ্জাবের ৭০টির বেশি ট্রেন যাত্রা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
এনডিআরএফ মহাপরিচালক অতুল কারওয়াল বলেন, ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় প্রস্তুত ছিলো বাহিনী।
প্রতিবেশী রাজস্তান, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকও আক্রান্ত হলে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। রাজস্তানের দক্ষিণাংশে প্রভাব পড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পাকিস্তানের করাচির উপকূলেও বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর উত্তাল থাকায় বিপদ সংকেত রয়েছে।
সতর্কতার অংশ হিসেবে উপকূলবর্তী কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র নেয়া হয়েছে।
সোনালী/জেআর