রাজশাহীতে কৌশলে পাটক্ষেতে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ!
অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহীর বাঘায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জনক শিমুলের বিরুদ্ধে। মন খারাপ করে আমবাগানে বসে থাকা ওই ছাত্রীকে কৌশলে পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার (১৪ জুন) সকালে বাঘা থানা পুলিশ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুন) ভুক্তভোগী ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত শিমুল হোসেন (৩৫) বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদুপুরের উদপুর চরের মোজাম আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ও দুই সন্তানের জনক। এ ঘটনার পর শিমুলের বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়।
জানা যায়, চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী (১১) লেখাপড়া না করায় বকাঝকা করে চাচা। এতে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মন খারাপ করে পাশের আম বাগানে গিয়ে বসে সে। এসময় পাশ দিয়ে শিমুল হোসেন (৩৫) যাচ্ছিল। মন খারাপ দেখে তার কাছে যান শিমুল হোসেন।
পরে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে কৌশলে পাশে পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে জানায় ওই ছাত্রী।
পরে ছাত্রীর পরিবার ঘটনা অবগত করলে শিমুলের পরিবার পাত্তা না দিয়ে উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করে। বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে আইনি আশ্রয়ের পরামর্শ দেন। ছাত্রীর পরিবার নিরুপায় হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্কুলছাত্রীর চাচা জানান, মেয়েকে আমার কাছে রেখে ভাই ঢাকায় রিকশা চালান আর ভাবি সৌদি আরবে থাকেন। মেয়ে লেখাপড়া না করায় একটু বকা দিয়েছিলাম। আমার অজান্তে রাগ করে পাশের এক আমবাগানে গিয়ে বসেছিল।
এ সময় শিমুল তাকে কৌশলে পাটখেতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরে বিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ডিএম মনোয়ার হোসেন বাবুল দেওয়ান বলেন, শিমুলের স্ত্রী সকালে দুটি সন্তান নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। যেহেতু মামলা হয়েছে, আইনিভাবে মোকাবেলা করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছি।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য স্কুলছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সোনালী/জেআর