বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যা মন্তব্য ভারতের
অনলাইন ডেস্ক: ভারত বলেছে, তারা মনে করে বিদেশি কিছু রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জওহরভবনে মোদি সরকারের নয় বছরের সাফল্যের খতিয়ান প্রকাশ শেষে শীর্ষস্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘরোয়া আলাপচারিতার সময় বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ভারতের ঘোষিত নীতি হচ্ছে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই।
তার কোনো পরিবর্তন নেই। বাংলাদেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে তারা কোন ধরনের সরকার পছন্দ করবে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত এই প্রথম মন্তব্য করল।
সাফল্যের খতিয়ান প্রকাশ করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর ভারতের পার্লামেন্টে অখন্ড ভারত মানচিত্র বিষয়ে সরকারি ব্যাখ্যা দেন।
তিনি বলেন, এ মানচিত্রের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। এটা সম্রাট অশোকের সময়ের মানচিত্র। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিকৃতি। যেসব বন্ধু রাষ্ট্র এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইবেন আমরা ব্যাখ্যা দিয়ে দেব।
একমাত্র পাকিস্তানকে কোনো জবাব দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমি এও শুনেছি বন্ধু রাষ্ট্ররা আমাদের অবস্থান বুঝতে পেরেছে। নয় বছরের মোদি শাসনকালের সাফল্যের খতিয়ান দিয়ে জয়শংকর বলেন, ভারত অনুসৃত ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির সাফল্যের অন্যতম প্রমাণ বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি সম্পাদন।
এর ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের এক বিশাল আর্থিক সম্ভাবনা খুলে গেছে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যোগাযোগব্যবস্থা উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রে কেবল আইনশৃঙ্খলায় স্থায়িত্ব এসেছে তাই নয়, আর্থিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়ে উভয় দেশের মানুষের লাভ হয়েছে।
তিনি এও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারির কারণে ভারত এখন সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছে। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীর সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি সরবরাহ, রেল যোগাযোগ, সুসংহত আধুনিক স্থলবন্দর নির্মাণ
এ অঞ্চলে নতুন আর্থিক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত করেছে। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁর শাসনকালের শেষে বলেছিলেন, আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি তাঁর সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য। মোদি সরকারের সাফল্য কী?
জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শাসনকাল এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে না। তাই যখন শেষ হবে তখন বলা যাবে। প্রশ্ন করা হয় রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক আমেরিকা সফর নিয়ে। জয়শংকর বলেন, রাহুল গান্ধী দেশের মধ্যে কোনো সাড়া পাচ্ছেন না। তাই বিদেশ গিয়ে সমর্থন আদায় করছেন। তবে তাঁর বিদেশের মাটিতে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কথা বলা উচিত হয়নি।
সোনালী/জেআর